April 26, 2024, 11:32 am
সর্বশেষ:
মোরেলগঞ্জে চোখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটে আহত-৪ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সম্পাদক ও যুবদল সম্পাদক সহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে বান্দরবানে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন ধর্ষন মামলায় ফের আটক আ’লীগ নেতা মুহিবুর লোহাগাড়ার ইউএনও`র সাথে লোহাগাড়া সাংবাদিক সমিতির নব গঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে বান্দরবানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : শার্শায় তিন পদে ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা শার্শায় ৬টি সোনারবার উদ্ধার, আটক ১ সোনারগাঁ বারদী বাজারের ৫০ টাকার খাজনা ৫০০ টাকা মোরেলগঞ্জে অগ্রনী ব্যাংকের পিএলসি নতুন ভবনের উদ্বোধন

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অংশগ্রহণ জ্ঞানী-গুণী মানতে রাজি হতেন নাঃ প্রধানমন্ত্রী

  • Last update: Sunday, February 21, 2021

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অংশগ্রহণের বিষয়টি অনেক জ্ঞানী-গুণী বুদ্ধিজীবী মানতে রাজি হতেন না। তারা বলার চেষ্টা করেছেন—‘সে তো জেলে ছিল, সে আবার ভাষা আন্দোলন করবে কীভাবে?’ কিন্তু আমার প্রশ্ন—জেলে তিনি গিয়েছিলেন কেন? তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল ভাষা আন্দোলন শুরু করার কারণেই। সে কারণে তিনি বারবার গ্রেফতার হন। দীর্ঘ কারাবাস তাঁকে করতে হয়।

রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

সত্যকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অবদানের কথা আমি বারবার বক্তব্যে বলেছি। যখন সবাই অস্বীকার করতো, তখন আমি এটা বেশি করেই বলতাম। আজ মনে হচ্ছে—আমার আর বলার প্রয়োজন নেই। এখন সবই জানতে পারবেন। পাকিস্তানের গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে এ সম্পর্কে অনেক বেশি জানতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন থেকেই বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা বিজয় অর্জন করি। স্বাধীন রাষ্ট্র পাই। স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পাই। আমরা যে চেতনা নিয়ে কাজ করছিলাম, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই চেতনা মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রক্তের বিনিময়ে আমরা যে নিজের ভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, আজ তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি। আজ কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশও এ দিবসটি পালন করছে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের অন্য ভাষা শিখতে হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে মাতৃভাষাও শিখতে হবে।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য বর্ণনা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘ভাষার অধিকার রক্ষা করা, ভাষাকে সম্মান দেওয়া এবং হারিয়ে যাওয়া ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলি। আমরা এই ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কাজ শুরু করি। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এর কাজ বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে শুরু করি। এর কাজ আমরা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো সারা বিশ্বের হারিয়ে যাওয়া এবং চলমান ভাষাগুলোর নমুনা এখানে সংরক্ষণ করা। গবেষণা করা, ভাষার ইতিহাস সংরক্ষণ করা। এ জন্য ভাষা জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে। কোনও ভাষা যাতে হারিয়ে না যায়, তার জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি।’

ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে ক্যাটাগরি-২ ইনস্টিটিউটের স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এ সময় ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘‘মাতৃভাষা মানুষের আত্মপরিচয় ও অস্তিত্বের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। ভাষা ও সংস্কৃতির দ্বারা মানব ইতিহাসের বৈচিত্র্যময় জীবনধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রবহমান থাকে। পৃথিবীর ভাষাবৈচিত্র্য সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশ এবং বহুভাষিক সংস্কৃতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করাই ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনের প্রকৃত তাৎপর্য। আমরা চাই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই চেতনা সবার মধ্যে সঞ্চারিত হোক। দূরীভূত হোক সকল বিভেদ।সবার মধ্যে জেগে উঠুক স্বদেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ। বিশ্বের সকল মাতৃভাষা স্বমহিমায় বিরাজিত থাকুক ও বিকশিত হোক।’’

পরে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক প্রদান করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে মাতৃভাষা পদক পেয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক ভাষাবিজ্ঞানী ও নজরুল গবেষক রফিকুল ইসলাম ও বেসরকারি সংগঠন খাগড়াছড়ির জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ পদক পান উজবেকিস্তানের গবেষক ইসমাইলভ গুলম মিরজায়েভিচ। এছাড়া অনুষ্ঠানে নৃগোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে কাজ করা বলিভিয়ার অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগ অ্যাকটিভিজমো লেংকুয়াসকে বাংলাদেশ সরকারের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি পদক তুলে দেন।

শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC