April 26, 2024, 5:07 pm

ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়াল

  • Last update: Wednesday, September 16, 2020

ভারতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাজ্যসভায় দেওয়া ভাষণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, কোভিডের সঙ্গে লড়াই শেষ হতে এখনও অনেক দেরি আছে। আর রাতেই আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে। সংস্থাটির হিসাবে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৩৪। এর মধ্যে ৮২ হাজার ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে এবং কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কথাও ভাবা হচ্ছে।পরপর কয়েক দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার পেরোলেও মঙ্গলবার সেই সংখ্যাটা কিছুটা কমে হয়েছে ৮৩ হাজার ৮০৯। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গবের মতে, লকডাউনের জন্যই ভারতে সংক্রমণের লেখচিত্র বা মৃত্যুহার লাগামছাড়া হয়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রুটিন ব্রিফিংয়ে ভার্গব বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে একটা সময়ে সংক্রমণ চরমে পৌঁছেছিল। ওই শীর্ষে ওঠার সময়টায় প্রচুর মৃত্যু ঘটেছিল, তা সে স্পেন, যুক্তরাজ্য, সুইডেন বা জার্মানি— যে দেশই হোক না কেন। সৌভাগ্যবশত, এর থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। লেখচিত্র ঊর্ধ্বগামী হলেও তাকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে নামিয়ে দেওয়া গেছে। মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসের অত্যন্ত কার্যকরী লকডাউনের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। ফলে সংক্রমণ সেই অর্থে বিরাট কোনও শীর্ষে পৌঁছায়নি।’

কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও ফের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ইদানীং প্রকাশ্যে আসছে। ভার্গবের মতে, দ্বিতীয় বার সংক্রমণের বিষয়টি ‘খুব খুব বিরল’। তা ঘটতে পারে, যেমনটা দেখা গেছে হংকংয়ে। তবে এ নিয়ে বেশি চিন্তার কিছু নেই।

সম্প্রতি আইসিএমআরের সেরো সার্ভে-তে শতাংশের হিসেবে দেখা গিয়েছিল, মে মাসেই ভারতের ৬৪ লাখ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। তবে ভার্গবের বক্তব্য, ওই সার্ভে অনেক পুরনো। নতুন সমীক্ষা চলছে। তার ফলাফল পেলে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই স্পষ্ট হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের বক্তব্য, ভারতে কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ৩৮ দশমিক ৫ লাখ মানুষ।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সুস্থতার হার সর্বাধিক। দেশটিতে সুস্থতার হার এখন ৭৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। মোট সংক্রমিতের সংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ এখন অ্যাক্টিভ রোগী। তাদের ৬০ শতাংশ রয়েছেন পাঁচটি রাজ্যে— মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের কম।

ভূষণ জানান, ভারতে প্রতি দশ লাখে সংক্রমিতের সংখ্যা তিন হাজার ৫৭৩, বিশ্বে যে হার তিন হাজার ৭০৪। ভারতে প্রতি দশ লাখে মৃত্যু হার ৫৮, বিশ্বে যা এখন ১১৮।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, মাঝারি উপসর্গের এবং মৃদু উপসর্গ কিন্তু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা রোগীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেমডেসিভিয়ার, টোসিলিজ়ুম্যাবও অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ প্লাজ়মা দেওয়া হচ্ছে গুরুতর অবস্থায় থাকা রোগীদের। করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা ও মাঝারি আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে গুড়ুচি, পিপলি, যষ্টিমধু ও বিভিন্ন ভেষজ গাছপালা মিলিয়ে তৈরি ওষুধের (আয়ুষ-৬৪) পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কথাও ভাবা হচ্ছে। সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার, আনন্দবাজার।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC