April 26, 2024, 10:13 pm
সর্বশেষ:

বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়েই লাখ টাকার বিল, প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • Last update: Sunday, August 30, 2020

টাঙ্গাইলের বাসাইলে শ্যামলা বেগম নামের এক বৃদ্ধার সেচ মেশিনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অধীনে টাঙ্গাইলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়েই বিল খেলাপির দায়ে মামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোর হাকিমপুর গ্রামে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী শ্যামলা বেগমের ছেলে সুরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন তালুকদার, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান এলিট, মুক্তিযোদ্ধা আজহার আলী সিকদার, দুলাল হোসেন, আব্দুস সবুর, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান, জাহিদ সিকদার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ২০১৪ সালের শেষের দিকে শ্যামলা বেগম একটি সেচ মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ আনার জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) টাঙ্গাইলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর অধীনে আবেদন করেন। কিন্তু ওই সময় শ্যামলা বেগমের সেচ মেশিনে সংযোগ দেওয়ার জন্য কোনও খুঁটি স্থাপন বা তারও টানানো হয়নি। সংযোগও দেয়া হয়নি। কিন্তু আবেদনের প্রায় পাঁচ বছর পর সম্প্রতি শ্যামলা বেগমের নামে এক লাখ ১৪ হাজার ৬২৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল খেলাপি দেখিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা এ মিথ্যা বিল ও মামলা থেকে শ্যামলা বেগমকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোর হাকিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল সবুর মিয়ার স্ত্রী শ্যামলা বেগম সেচ মেশিনে বিদ্যুৎ লাইন নেয়ার জন্য ২০১৪ সালের শেষের দিকে বাসাইল পৌর এলাকার মশিউর রহমান নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইনের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) টাঙ্গাইলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর অধীনে আবেদন করেন। ওই সময় দাপনাজোর হাকিমপুর, দেউলী ও মুড়াকৈ এলাকার ১২ জনের কাছ থেকে সেচ মেশিনে বিদ্যুতের লাইন পাইয়ে দিতে মশিউর রহমান ১১ লাখ টাকা নেন। পরে ২০১৫ সালের প্রথম দিকে তিনি ৯ জনের সেচ মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেন। এছাড়া গ্রাহকের নিজ দায়িত্বে বাঁশ ও সিমেন্টের খুঁটি ও তার কিনে আরও দুইজন তাদের সেচ মেশিনে সংযোগ নেয়। ওই সময় রহস্যজনক কারণে দূরত্বের অজুহাতে শ্যামলা বেগমের লাইন না দিয়ে সংশ্লিষ্টরা তার লাইন বাতিলের কথা বলে কাজ শেষ করে চলে যায়।

সেই আবেদনের প্রায় পাঁচ বছর পর সম্প্রতি টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী দফতরের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ (বিউবো) এর সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইমুম শিবলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বিদ্যুৎ আদালতে শ্যামলা বেগমের নামে মামলাটি করেন। এ মামলায় আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বিবাদী বৃদ্ধা শ্যামলা বেগমকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC