April 26, 2024, 8:55 am
সর্বশেষ:
মোরেলগঞ্জে চোখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটে আহত-৪ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সম্পাদক ও যুবদল সম্পাদক সহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে বান্দরবানে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন ধর্ষন মামলায় ফের আটক আ’লীগ নেতা মুহিবুর লোহাগাড়ার ইউএনও`র সাথে লোহাগাড়া সাংবাদিক সমিতির নব গঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবা প্রদানে বান্দরবানে হেল্প ডেক্স উদ্বোধন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : শার্শায় তিন পদে ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা শার্শায় ৬টি সোনারবার উদ্ধার, আটক ১ সোনারগাঁ বারদী বাজারের ৫০ টাকার খাজনা ৫০০ টাকা মোরেলগঞ্জে অগ্রনী ব্যাংকের পিএলসি নতুন ভবনের উদ্বোধন

বাংলাদেশের হাতে যে ১০ ক্ষেপণাস্ত্র

  • Last update: Sunday, September 13, 2020

আধুনিক বিশ্বে প্রায় সকল দেশ নিজ নিজ প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করেছে। এর ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। অত্যাধুনিক নানা যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত রয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী। বিশ্বে সমরাস্ত্রে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র। বাংলাদেশের হাতেও রয়েছে এই অস্ত্র। বাংলাদেশের হাতে এখনো পর্যন্ত ১০ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

যুদ্ধ ক্ষেত্রে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে বসেই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজ করে ক্ষেপণাস্ত্র। বর্তমানে বাংলাদেশ সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনী বেশ কয়েক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। এর মধ্যে রয়েছে, এন্টিশিপ মিসাইল বা ASHM, সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল বা SAM, এয়ার টু এয়ার মিসাইল বা AA মিসাইল এবং ATGM ও ম্যানপেড ঘরানার ক্ষেপণাস্ত্র। তবে বাংলাদেশের সামরিক বহরে এখনো যুক্ত হয়নি এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল।

তিন বাহিনীর মধ্য থেকে সবচেয়ে বেশী রেঞ্জ, কার্যকরী এবং সংখ্যার দিক থেকে মিসাইল ব্যবহারকারী ফোর্স হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এগিয়ে। বাংলাদেশের হাতে থাকা সর্বোচ্চ রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্রের (২১০ কি.মি) অধিকারী এই বাহিনী।

বাংলাদেশের হাতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
১. OTOMAT_MKII_BLOCK_IV:
ইতালির কাছ থেকে ক্রয় করা এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বর্তমানে বানৌজা-বঙ্গবন্ধু ফ্রিগেটে ব্যবহার হচ্ছে। এই ফ্রিগেট রেডি টু ফায়ার মুডে ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে। এবং আরো কিছু ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজে স্টোর করা থাকে, যা পরবর্তীতে ম্যানুয়ালি লোড করতে হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ রেঞ্জ ২১০ কিঃমি পর্যন্ত। এবং এটিই বাংলাদেশের হাতে সর্বোচ্চ রেন্জের ক্ষেপণাস্ত্র।

অটোমেট এমকে২ ব্লক৫:
২. C802A: নৌবাহিনীর বহরে থাকা C802A দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র। সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের বহরে থাকা সর্বাধিক ক্ষেপণাস্ত্র এটি। চীনের তৈরী এই মিসাইলটি দেশে তৈরী যুদ্ধ জাহাজ থেকে শুরু করে অন্য দেশ থেকে আমাদানিকৃত যুদ্ধ জাহাজে ব্যাপকহারে ব্যবহার হচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকটি ফ্রিগেট এবং স্বাধীনতা ক্লাস কর্ভেটে মিসাইলটি ইনস্টল করা আছে। C802A এর রেঞ্জ ১৯০ কি.মি পর্যন্ত। যেহেতু প্রতিবছরই নৌবাহিনী নতুন যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করে সে হিসেবে প্রতিবছরই নতুন করে C802A ক্ষেপণাস্ত্রও বহরে যুক্ত হচ্ছে।

৩. সি৮০২এ এবং মেনপ্যাড:
C704 এন্টিশীপ ক্ষেপণাস্ত্রটিও চীনের তৈরী। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশে তৈরী দূর্জয় ক্লাস লার্জ পেট্রোল ক্রাফট, ক্যাসল ক্লঅস কর্ভেট এবং মিসাইল বোটে ব্যবহার হচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ রেঞ্জ ৩৭ কি.মি।

৪. FM90 সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল। এটি দেশের তিন বাহিনীর হাতেই রয়েছে। এই সার্ফেস টু এয়ার মিসাইলের রেঞ্জ ১৫ কি.মি। এই রেঞ্জের মধ্যে বিমান, হেলিকপ্টার এবং মিসাইল ধ্বংস করতে পারে। এটি একটি শর্ট রেঞ্জ SAM সিস্টেম যার মুল কাজ গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা,যুদ্ধ জাহাজ,বিমানঘাঁটির পয়েন্ট ডিফেন্স সুরক্ষা প্রদান।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-পাকিস্তান-ইরান: যুদ্ধের ময়দানে কে এগিয়ে?

৫. FL3000N চীনের তৈরী এই SAM এর ব্যবহারকারী বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১০ কি.মি। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হল, সুপারসনিক মিসাইল ঠেকিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা। চীন থেকে নতুন ক্রয়কৃত Type056 কর্ভেটে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়।

৬. R27 এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহরে থাকা সর্বোচ্চ রেঞ্জের এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার তৈরী এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রধানত আমাদের MIG29 যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৮০ কি.মি দূরে থাকা প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে পারে।

৭. R73 এয়ার টু এয়ার মিসাইল। এটি রাশিয়ার তৈরী শর্ট রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্রটি। এটি মূলত ৩০ কি.মি রেঞ্জের মধ্যে ডগ ফাইটে শত্রু বিমান ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।

৮. PL5 এয়ার টু এয়ার মিসাইল। চীনের তৈরী এই ক্ষেপণাস্ত্রটিও শর্ট রেঞ্জের। ডগ ফাইটে ১৬-১৮ কি.মি এর মধ্যে প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।

৯. PL9C চীনের তৈরী শর্ট রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্রও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যবহার করে।

১০. এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশের হাতে বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের এন্টি ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ও ম্যানপেড রয়েছে।

সূত্র: ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC