April 26, 2024, 3:59 pm

পদ্মাসেতু প্রকল্পের দুই বিদেশিসহ ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত

  • Last update: Saturday, June 6, 2020

পদ্মাসেতু প্রকল্পে করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রকল্পটির মাওয়া প্রান্তের দোগাছিস্থ সার্ভিস এরিয়া-১ এর ১৪জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একটি বেসরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে গত ২ জুন ১৬৩ জনের সোয়াব সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। পরবর্তীতে ১৪জনের করোনা পজেটিভ আসে। বাকী ১৪৯জনের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। শুক্রবার রাতে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এর মধ্যে দুজন বিদেশী পরামর্শক রয়েছেন। একজন কোরিয়ান নাগরিক সিনিয়র পেন্টিং স্পেশিয়ালিস্ট (৩৫) এবং অপরজন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক পরমর্শক প্রতিষ্ঠান কেইসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক (৬৫)। বাকী ১২জন বাংলাদেশী। এর মধ্যে একজন রয়েছেন নারী। তিনি এক মেটরিয়েল প্রকৌশলীর স্ত্রী। তবে এই ১৪জনের কারও করোনা উপসর্গ নেই।

এর আগে উপসর্গ থাকায় গত ২৭ মে প্রথম ৩জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে একজন পুরুষ কুকের (৪৫) করোনা পজেটিভ আসে। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাওয়া প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-১ এর সকল সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। সকর্তার সাথে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির সংশ্লিষ্ট একজন দায়িত্বশীল জানিয়েছেন, এই কুক স্থানীয়। সে সার্ভিস এরিয়া-১ এর বাইরেও আসা যাওয়া করতেন। হয়ত তার মাধ্যমেই অন্যদের করোনা সংক্রমণ হতে পারে। আর তাই সকলের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তিনি জানান, এই কুককে সার্ভিস এরিয়া-১ এর আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। ১০জনের থাকার এই আইসোলেশন সেন্টার আগেই প্রস্তুত রাখা ছিল। এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে লাইফ সাপোর্ট সুবিধার অ্যাম্বুলেন্স।

পরবর্তী শনাক্ত ১৪জন থেকে আরও দুজনকে এই আইসোলেশন সেন্টারে আনা হয়েছে। দুই বিদেশীসহ বাকী ১২জন সার্ভিস এরিয়া-১ এর স্ব স্ব বাসায় আইসোলেশনে আছেন। পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনভাবেই যাতে কেউ আইসোলেশন ভঙ্গ না করেন।

পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আনোয়ার খান মর্ডাণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাধ্যমে লোক এসে নমুনা নিয়ে যায় এই পরীক্ষা করার জন্য। করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমতি পাওয়া প্রথম বেসরকারি হাসপাতাল এটি। তারপরও ঢাকার আরেকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে শনিবার (আজ) দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করা হবে।

দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে তারা বলেন, এতে প্রকল্পের কাজে কোন সমস্যা হবে না। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রকল্পটিতে আরও সর্তক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পের অন্যান্য সেক্টরগুলোতেও করোনা টেস্ট করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে আগামী ১১জুন সেতুর ২৫ ও ২৬ নম্বর খুঁটিতে ৩১তম স্প্যান স্থাপানের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি ৫ সহস্রাধিক কর্মীদের সবাই সুস্থ আছেন বলে দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন। যাতে কোনভাবে এভাবে করোনা ছড়াতে না পারে সেই ব্যাপারে সর্তক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC