May 4, 2024, 1:21 pm
সর্বশেষ:
মৌলভীবাজার আদালত প্রাঙ্গণে “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে বাঁশখালী লবন শ্রমিক কল্যান ইউনিয়নের আলোচনা সভা ও র‌্যালী আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে বাঁশখালীতে রিক্সা শ্রমিকদের আলোচনা সভা ও র‌্যালী রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় সোনারগাঁয়ে বেপরোয়া মহিউদ্দিন পেপার মিলস, বিলিং ঘর ধসে পড়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি আলফাডাঙ্গায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় বান্দরবানের ট্রাস্ট ব্যাংকের পাশে আগুন,পুড়ে ছাই দোকান ও বসতঘর           শ্রীমঙ্গল মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ বাজারে ধানের দাম কম, শ্রমিকের মজুরি বেশি সাতক্ষীরা তালা উপজেলার তরুণ প্রজন্ম অনলাইন জুয়ায় আসক্ত

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউএনওকে ‘স্টুপিড’ বললেন বরিশালের মেয়র

  • Last update: Monday, October 17, 2022

বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এ সময় ইউএনওর ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন মেয়র সাদিক। তাকে ‘স্টুপিড’ও বলেন তিনি।

সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বরিশাল জিলা স্কুলকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ফেসবুক পেজে করা লাইভে দেখা যায়, সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে বরিশাল জিলা স্কুলকেন্দ্রে যান মেয়র। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বরিশাল জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকন, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না ও ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি প্রমুখ।

এক নম্বর ভোটকক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে দলবেধে ভোটকক্ষে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করেন। এ সময় ইউএনওর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মেয়র।

মেয়র সাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি? কেন সিনক্রিয়েট করছেন? আপনি কে? আমি কি ঢুকছি? তার পরও আপনি কথা বলছেন। আমি কি বাচ্চা শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন। যেভাবে ভাবটা করেন, তাতে বোঝায় দল বাইধা ঢুকতেছি। ভোটার হইছে ১৭৪ জন। তা হলে সমস্যা কোথায় আপনাদের?

তখন কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না পাশ থেকে বলেন, ‘এখানে সবাই ভোটার, আপনি চেনেন না। আপনে বরিশালে মনে হয় নতুন।`
একেএম জাহাঙ্গীর ইউএনওকে বলেন, উনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
এ সময় ইউএনও বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।`

মেয়র সাদিক ইউএনওকে বলেন, আমি তো ভেতরে ঢুকিনি। আসার পর থেকে আপনারা বলছেন। ফাইজলামি করেন আপনারা। আপনে কানে কথা শোনেননি।
ইউএনও মনিরুজ্জমান মেয়রকে বলেন, আপনাকে কিছু বলিনি স্যার।

এর পর মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ইউএনও মনিরুজ্জামানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে ইউএনও মনিরুজ্জমানকে নিবৃত্ত করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু ও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডার খবর সঠিক নয়।

বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার নুরুল আলম বলেন, ভোটকক্ষে ফেসবুক লাইভ করার কোনো বিধান নেই।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC