April 26, 2024, 10:59 pm
সর্বশেষ:

এবার পানি-ডিম সেদ্ধ করা শিখতে বাংলাদেশে আসছে ১ হাজার বিদেশি

  • Last update: Friday, September 18, 2020

শিশুদের শিক্ষাঙ্গনমুখী করার জন্যে খিচুড়ি রান্না শিখতে যে শুধু বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার কর্মকর্তা বাইরে যাবেন তা নয়। বিদেশ থেকেও কর্মকর্তারা আসবেন বাংলাদেশে!

তবে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বিদেশে যাবেন ভালো মানের খিচুড়ি এবং পরিবেশন শেখার জন্যে। অপরদিকে, নোয়াল্যান্ডের কর্মকর্তারা আসবেন পানি আর ডিম সেদ্ধ করা শিখতে!

অন্যদিকে, নোয়াল্যান্ডের এক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় পানি এবং ডিম সেদ্ধা করার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যে বাংলাদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির শিশুশিক্ষা দপ্তর। নোয়াল্যান্ডের শিশুশিক্ষা দফতর এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে! নোয়াল্যান্ডের পরিকল্পনা কমিশন এর অনুমোদন এই প্রকল্পের পরিচালক ডেভিড নেকমট ‘একটু থামুন’কে জানিয়েছেন, , ;আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং দিশেহারা। কারণ ৫ বছরে এক হাজার কর্মকর্তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর এই প্রস্তাব পাস হয়েছে অবশেষে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসে নোয়ালিয়ান্ডের কর্মকর্তারা পানি এবং ডিম কীভাবে সেদ্ধ করে এবং তা পড়ুয়াদের মধ্যে বিতরণ করা এই বিষয়গুলোতে পুরোপুরি ধারণা নিতে আসবেন! অবাক হলেও এটিই আশ্চর্য যে, নোয়াল্যান্ডের কর্মর্তারা বাংলাদেশে আসবেন পানি এবং ডিম সেদ্ধ কীভাবে করে শেখার জন্যে! বাংলাদেশি প্রশিক্ষণ তাঁদের কাছে অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে জানা গেল!

জানা গেল, নোয়াল্যান্ডের শিশুশিক্ষা দপ্তর বাংলাদেশে আসার জন্যে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি টলার (নোয়াল্যান্ডীয় মুদ্রা) পাবে।

হ্যাঁ, এই ডিম সেদ্ধ এবং পানি সেদ্ধ করা শেখার জন্যে এবং বিতরণ পদ্ধতি শেখার জন্য মোট বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টলার। নোয়াল্যান্ডের শিশুশিক্ষা দপ্তর ও পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে এসে ১ হাজার কর্মকর্তা ট্যাপ থেকে জল কীভাবে মজুত করে এবং বাজার থেকে কীভেব ডিম কেনে সেগুলো সব শিখে ফেলবেন একবারে! ডিম সেদ্ধ করা শেখার জন্যে আগন্তুক সফরে সুযোগ পাচ্ছেন নোয়াল্যান্ডের শিশুশিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন এবং বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা।

জানা যাচ্ছে, এর আওতায় মোট ৫ বছর ধরে মোটামুটিভাবে ২ কোটি ৫০ লক্ষ পড়ুয়াকে পুষ্টিকর সেদ্ধ ডিম এবং গরম পানি খেতে দেওয়া হবে। এই সুবিধা পাবে নোয়াল্যান্ডের ২০১টি অঞ্চলের পড়ুয়া!

এই কথা প্রচার হওয়া মাত্রই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ট্রোলের ঢেউ পড়েছে! কেউ কেউ এমনও বলছেন, জন্ম হয়েই তো একটি শিশু জেনে যায়, ডিম-পানি কী করে সেদ্ধ করতে হয়! এর জন্যে নোয়াল্যান্ড থেকে এত অর্থ খরচ করে আসা? এই টাকায় তো ডিম-গরম পানির সঙ্গে আরো অনেক পুষ্টিকর খাবার বাচ্চাদের মুখে তুলে দেয়া যেত!

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC