নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি রবিবার গত মাসে জেন-জিদের নেতৃত্বে হওয়া গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত তার অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন। মন্ত্রিসভায় দুজন মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত।
গত ৮-৯ সেপ্টেম্বরের এই অস্থিরতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে শুরু হয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক দুর্দশা এবং দুর্নীতির কারণে তা আরো তীব্র হয়।
বিক্ষোভ চলাকালীন সহিংসতায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হন এবং এর ফলস্বরূপ পূর্ববর্তী সরকারের পতন ঘটে।সেসময় পার্লামেন্ট, আদালত এবং সরকারি ভবনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কর্মকর্তারা রবিবার জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল কার্কি সরকারের নতুন সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। নতুন এই সদস্যরা হলেন—যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বাবলু গুপ্ত এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রী সুধা শর্মা।
২৮ বছর বয়সী গুপ্ত ‘হান্ড্রেডস গ্রুপ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজের জন্য সুপরিচিত, যা খাদ্য বিতরণ ও শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়কে সহায়তা করে।
পেশায় চিকিৎসক শর্মা একজন লেখক হিসাবেও পরিচিত, যিনি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নীতিতে তার নেতৃত্বের জন্য সুপরিচিত।
গত মাসে এই দুজনই তরুণদের নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভের পক্ষে ছিলেন।
কার্কির প্রেস কো-অর্ডিনেটর রাম রাওয়াল রবিবার এএফপিকে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ১০ সদস্যের মন্ত্রিসভার জন্য আরো দুটি নামের সুপারিশ করেছিলেন, কিন্তু পরামর্শের জন্য সেই নিয়োগগুলো স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, যুব প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকায় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ এখনো অসম্পূর্ণ।
৭৩ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কার্কি আগামী ৫ মার্চের নির্বাচন পর্যন্ত হিমালয়ের এই দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিক্ষোভের পরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি তিন কোটি মানুষের এই দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং পরিচ্ছন্ন শাসনের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
