২০০৮ সালের পর থেকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে বলেই উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক উন্নতি নিশ্চিত হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে। আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই।
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ ছিলো; সেটা আমরা ১৮.৭ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ছিলো ২৫.৯ শতাংশ, এটা আমরা ৫.৬ ভাগে আনতে পেরেছি। এ দেশের কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না; প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার পাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ২০০৮-এর পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আজকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, দীর্ঘসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিলো বলেই তা সম্ভব হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবো, সেই পরকিল্পনাও আমরা নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি শান্তি পদক পেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য আমাদের; যিনি শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবনটা দিতে হলো। যে দেশের মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন, সেই দেশের কিছু অমানুষের হাতেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা চাই তার এ দেশটি গড়ে উঠুক উন্নত-সমৃদ্ধ হয়ে।’