নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বালিশচাপা দিয়ে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে তার সৎমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে সৎমা নুপুরকে (২২) আসামি করে শিশুটির বাবা ওমর ফারুক সোনাইমুড়ী থানায় মামলা হত্যা মামলা করেন। পুলিশ দুপুরে নূপুরকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত শিশু আব্দুল্লাহ আল নাফিজ (৮) ওমর ফারুকের প্রথম স্ত্রী শামসুন নাহারের গর্ভে জন্ম নেয়। ২০১৯ সালে ওমর ফারুক তাকে তালাক দেন।
এর আগে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পদিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হত্যার অভিযোগে সৎমাকে আটক করে।
নিহত শিশুর মা শামসুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, ‘২০১৩ সালে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পদিপাড়া গ্রামের জাফর মিয়ার ছেলে ওমর ফারুকের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। তার নাম আব্দুল্লাহ আল নাফিজ। সে শাহানাপাড় এতিমখানায় পড়ালেখা করতো। ওমর ফারুকের সঙ্গে একই গ্রামের নুপুর নামে এক মেয়ের মোবাইলে ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে সে ওই মেয়েকে বিয়ে করে। এরপর সে আমাকে ২০১৯ সালে তালাক দেয়।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল নাফিজ এতিমখানা থেকে পড়ালেখা করতো। সৎমা তাকে বাড়িতে নিয়ে প্রায়ই নির্যাতন করতো। শনিবার রাত ৯টায় শিশু নাফিজকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে কাঁথা দিয়ে মরদেহ মুড়িয়ে খাটের ওপর ফেলে রাখে সে। পরে শিশুটির বাবা বাড়িতে এসে সন্তানকে চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেন এবং সৎমাকে পাশের অন্য ঘর থেকে ডেকে আনেন। এক পর্যায়ে খাটের ওপর কাঁথা মোড়ানো শিশুটির মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। এ সময় নাফিজের নাকের পাশে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন ছিল। খবর পেয়ে, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং সৎমা নুপুরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।