শেষ ওভারে দরকার ৪ বলে ৬ রান। হাতে ৮ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ আর এমন কী সমীকরণ! পাঞ্জাব কিংসের জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু কার্তিক ত্যাগীর ম্যাজিক্যাল ওভারে পাশার দান উল্টে গেলো। যে রাজস্থান রয়্যালস নিশ্চিত হারের দিকে এগোচ্ছিল, সেই তারাই ২ রানের জয়ের হাসিতে মাঠ ছাড়লো। এখানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে মোস্তাফিজুর রহমানেরও। বাংলাদেশি পেসার ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান না দিলে তো খেলা সেখানেই শেষ হয়ে যায়! নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজস্থানের করা ১৮৫ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ১৮৩ রান করতে পারে পাঞ্জাব।
আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে বোলিংয়ের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে মোস্তাফিজের। প্রথম ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ৪ রান। পরে অবশ্য ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। তবে নিজের চতু্র্থ ও দলের ১৯তম ওভারে আবারও ফেরেন স্বরূপে। পাঞ্জাবের সমীকরণটা ছিল এমন, ১২ বলে দরকার ৮ রান। তখনই শুরু মোস্তাফিজের চমৎকার বোলিং। কাটার-স্লোয়ারে খরচ করলেন মাত্র ৪ রান। তাতে পাঞ্জাবের শেষ ওভারে দরকার পড়ে ৪ রান। এরপর শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে ত্যাগী দেখালেন তার জাদু। ৪ ওভারে উইকেটশূন্য মোস্তাফিজ দিয়েছেন ৩০ রান।
দুবাইয়ের ম্যাচের সব উত্তেজনা জমা ছিল শেষ দুই ওভারে। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ত্যাগী শেষ ওভারে ১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। অথচ মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৪৩ বলে ৬৭) ও লোকেশ রাহুলের (৩৩ বলে ৪৯) অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ১৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই পাঞ্জাব পায় ১২০ রান। সমীকরণ আরও সহজ হয়ে ওঠে নিকোলাস পুরান ২২ বলে ৩২ রান করে গেলে।
কিন্তু তার বিদায়ের পরই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট পাওয়া ত্যাগীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে ৪ রান দরকার পড়লেও নিতে পারে মাত্র ১ রান। ২৬ রানে অপরাজিত থেকে অন্যপ্রান্ত থেকে পাঞ্জাবের হার দেখেছেন এইডেন মারক্রাম।
এর আগে যশস্বী জয়সওয়াল ও এভিন লুইসের ব্যাটে শক্ত ভিত পায় রাজস্থান। জয়সওয়াস ৩৬ বলে ৪৯ ও লুইস ২১ বলে করেন ৩৬ রান। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (৪) অবশ্য ব্যর্থ। তবে ঝড় তুলেছিলেন মহিপাল লমরর। তার ১৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় করা ৪৩ রানে বড় স্কোর গড়ে রাজস্থান।
পাঞ্জাবের সবচেয়ে সফল বোলার আর্শদীপ সিং। বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। মোহাম্মদ সামি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।