ব্রিটেনের রাজধানী শহর লন্ডনে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলার পর তৈরি সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ভাস্কর্য রক্ষা করছে বলে দাবি করে। যাদের বেশিরভাগ উগ্র-ডানপন্থি সংগঠনের কর্মী।- বিবিসি
লন্ডনে বিক্ষোভ শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর থেকে। বিক্ষোভকারীরা উপনিবেশিকতার ধারক হিসেবে খ্যাত লর্ড ক্লাইভসহ দাশপ্রথা ও বর্ণবাদের অভিযোগে অনেকের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলে। উগ্র ডানপন্থী সংগঠনের এসব কর্মী সেগুলো রক্ষার দাবি করে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হোয়াইটহলের ওয়ার মেমোরিয়ালের ও পার্লামেন্ট স্কয়ারে অবস্থিত উইনস্টন চার্চিলের মূর্তির পাশে জড়ো হওয়া এসব বিক্ষোভকারীর বেশিরভাগই ছিল শ্বেতাঙ্গ। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে উগ্র এসব বিক্ষোভকারী পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, এ হামলা তাদের হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস এক বিবৃতিতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ১৫জনকে সেবা দেয়ার কথা জানিয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউ বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে লন্ডনের বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মূর্তিতে ‘ওয়াজ এ রেসিস্ট’ কথাটা লিখে দিয়েছিল। দেশটির বিক্ষোভকারীরা লন্ডন ছাড়াও অন্যান্য শহরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। বিক্ষোভকারীদের এহেন আচরণে ক্ষেপে যায় দেশটির উগ্র-ডানপন্থিদের একটি বড় দল। তাই তারা লন্ডনের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিক্ষোভ দেখানোর এক পর্যায়ে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশের দিকে পাথর, বোতলসহ বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের লাথি-ঘুষিও মারে।