লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর এলাকার মেঘনা রোডের জাইল্লা টোলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—জেলা যুবলীগের সভাপতি একে এম সালাহ উদ্দিন টিপু এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর। তাদেরকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত অন্যরা হলেন—মাসুম (২৫) ও আবদুল মতিন (৫৮)। বাকিদের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যুবলীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে কেন্দ্রীয় নেতারা আসেন। তাদের বরণ করতে আজ সকাল থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় বিভিন্ন পদপ্রত্যাশী নেতা। এ সময় সভাপতি পদপ্রত্যাশী নুরুল আজিম সমর্থকদের নিয়ে মেঘনা রোডের জাইল্লা টোলা নামক এলাকায় অবস্থান নেন। সেখানে বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাবর সমর্থক পৌর যুবলীগের সাবেক সদস্য জহিরুল ইসলাম জানান, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে কয়েকশ লোক মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসযোগে এসে তাদেরকে পাইপ দিয়ে মারধর করে। এতে তাদের বেশকিছু কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা যুবলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার সময় একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বর্ধিত সভায় আছি। পরে কথা বলবো।’
সদর থানার ওসি তদন্ত শিপন বড়ুয়া জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনও পক্ষই এখনও অভিযোগ দেয়নি। ঘটেনি। তবে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে শুনেছি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল চিকিৎক (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসন বলেন, কয়েকজন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে নুরুল আজিম বাবরকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়েছে।