মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘সময় নষ্ট’ মন্তব্যে মস্কোর জবাব: ট্রাম্পই আগে বৈঠক পেছাতে চেয়েছিলেন

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বৈঠক হবে হবে করেও হয়নি। শেষ মূহূর্তে বৈঠক স্থগিত রাখা হয়। এরই মধ্যে রবিবার ট্রাম্প দাবি করেন, পুতিনের সঙ্গে দেখা করে তিনি আর সময় নষ্ট করতে চান না। তাঁর ওই মন্তব্যের পরই এ বার মুখ খুলল রাশিয়াও। ক্রেমলিন জানিয়ে দিল, ট্রাম্পই প্রথম বলেছিলেন হাঙ্গেরিতে এখন বৈঠকের কোনও মানে হয় না। পুতিনও তাতে রাজি হয়েছিলেন।

ক্রেমলিনের দাবি, রাশিয়া এবং আমেরিকা— দু’দেশই মনে করেছে পুতিন এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকে দেরি না করাই শ্রেয়। তবে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠকের জন্য আরও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। তাই দু’পক্ষ আলোচনা করেই কিছুটা সময় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে ওই বৈঠক বাতিল হয়ে গিয়েছে, এমন তত্ত্ব মানতে নারাজ রাশিয়া। সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’ অনুসারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রবিবার বলেন, “শুধুমাত্র বৈঠকে বসতে হবে বলে বৈঠকে বসতে পারেন না প্রেসিডেন্টরা। বৈঠকের নামে তারা সময় নষ্ট করতে পারেন না। তাঁরা (পুতিন এবং ট্রাম্প) উভয়েই এ বিষয়ে স্পষ্ট। তাই তাঁরা রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওকে এই প্রক্রিয়ার (বৈঠকের) প্রস্তুতির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া।”

বস্তুত, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়ের সঙ্গেই আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। এ অবস্থায় সম্প্রতি বুদাপেস্টে বৈঠকে বসার কথা ছিল দুই প্রেসিডেন্টের। কিন্তু তা-ও হয়নি। গত মঙ্গলবার রুবিয়ো এবং লাভরভের টেলিফোনে কথা হয়। ঘটনাচক্রে তার পরেই ওয়াশিংটনের তরফে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ‘সাময়িক ভাবে’ বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছে। হোয়াইট হাউসের ওই বার্তার পরে ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভও জানান, ওই বৈঠক ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে’।

Share:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *