মো: রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: বেনাপোল-পেট্রপোল এর তিনটি প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে আমদানি বাণিজ্যের জন্য। শনিবার দুপুরে ভারত থেকে ৮ ট্রাক পাটের বীজ বেনাপোল নোম্যান্স্যল্যান্ডে লোড আনলোড করা হয়। করোনা ভাইরাসের কারনে ভারতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশে কোন পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক যাবে না। যার কারনে উভয় দেশের নোম্যান্সল্যান্ডে পণ্য উঠা নামা করছে। তবে বাংলাদেশী কোন পণ্য ভারত এখনো আমদানি করেনি।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট নিয়ন এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি কামাল হোসেন বলেন, আজ ভারত থেকে ৮টি ট্রাকে শুধু পাটবীজ এসেছে। এ পণ্য চালানগুলো পেট্রাপোল-বেনাপোল এর তিনিটি গেট খুলে দিয়ে লোড আনলোড করা হচ্ছে। আজ এ ৮টি ট্রাকে ২০০ টনের মত পাট বীজ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। পাটবীজের এ চালান গুলো পেট্রাপোল বন্দরে আটকে ছিল।ভারতে লকডাউনের কারণে এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। গত ৩০ এপ্রিল ভুট্রা, পান ওপাট বীজের প্রথম ২৫ টনের একটি চালান দেশে এই চেকপোষ্ট দিয়ে প্রবেশ করে।
শনিবার অত্যান্ত সতর্কতার সাথে বিজিবি সদস্যরা ভারতীয় ও বাংলাদেশী প্রতিটি ট্রাকে জীবানুনাশক ওষুধ দিয়ে ট্রাক গুলো স্প্রে করে। এছাড়া আমদানির সাথে জড়িত শ্রমিকদের মাস্ক, হ্যান্ডগ্লোভস পড়তে দেখা গেছে। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ যাত্রী আসা যাওয়ার প্রধান ফটকেও বিজিবি বসিয়েছে একটি জীবানুনাশক স্প্রে ঘর।তবে বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমস এর পক্ষ থেকে নোম্যান্সল্যান্ডে কোন স্বাস্থ্য কর্মীকে দেখা যায়নি। আমদানি কার্যক্রম চললেও বেনাপোল বন্দরের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নোম্যান্সল্যান্ডে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের শ্রমিকরা ভারতের ট্রাক থেকে বাংলাদেশী ট্রাকে পণ্য লোড করায় ঝুঁকি থাকছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। সেদেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব পাটবীজ এসেছে। সাথে রয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকরাও। এদের নিকট থেকেও জীবানু ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এখানে নেই কোন রেজিষ্টার ডাক্তার। নেই কোন জীবানুনাশক ওষুধ। সব মিলিয়ে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে বলে একাধিক মন্তব্য ছুড়ছে সাধারন মানুষ।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ বলেন, এসব পণ্য বেনাপোল বন্দরে নিয়ে পরীক্ষন শেষে আজই ছেড়ে দেওয়া হবে।