মৌলবাদী শক্তির আপত্তিকে তোয়াক্কা না করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। বাঙালির বিজয়ের মাস, ডিসেম্বরেই রাজধানীর ধোলাইপাড়ে উদ্বোধন করা হবে ভাস্কর্যটি।
প্রকল্প পরিচালক জানান, চীন থেকে তৈরি করে আনা ধাতবদ্রব্যের ভাস্কর্যটি হবে আইকনিক ও দৃষ্টিনন্দন। চোখে পড়বে দূর থেকেও। ব্রিটিশ আমলে আন্দোলন-সংগ্রামে হাতেখড়ি। পাকিস্তান আমলে সেই সংগ্রামী জীবন কেবল জনতার ভরসাস্থলই হয়ে ওঠেনি, ইতিহাসের পুনঃনির্মাণও করেছে।
পঞ্চান্ন বছরের জীবনে জাতির মুক্তির লড়াইয়ে নেমে কারাগারে কেটেছে চার হাজার ছয়শো বিরাশি দিন। শত নির্যাতন সয়েও লক্ষ্যে অবিচল থেকে জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশ। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
জাতির পিতার একটি ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশজুড়ে চলছে উত্তেজনা। ভাস্কর্যকে ইসলামবিরোধী অভিহিত করে তা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছে হেফাজতে ইসলামসহ গোঁড়াপন্থীরা। প্রতিবাদ-প্রতিরোধে রাজপথে রয়েছে আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধুর যে ভাস্কর্য ঘিরে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি, সেই ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। রাজাধানীর ধোলাইপাড় মোড়ে উঁচু গোলাকার এই মঞ্চেই বসানো হবে ভাস্কর্যটি। জায়গাটি চারিদিক থেকে উঁচু স্থাপনা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অংশ ভাস্কর্যটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য দিতে রাজি হননি প্রকল্প পরিচালক।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান বলেন,’ধারণাটা এ দেশেরই তবে, তৈরী হয়েছে চীনে। মেটালের তৈরী এ ভাস্কর্যটি নিখুঁতভাবে তৈরী কারার মতো যে ডাইস, সে ডাইসটা হয়তো আমাদের এখানে নাই। সে কারণেই চায়না থেকে এটা তৈরী করা হচ্ছে। এটা বিশেষভাবে তৈরী ভাস্কর্য, উন্মুক্ত করার পরেই এটা দৃশ্যমান হবে। এটি এ মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না।’
প্রকল্প পরিচালক জানান, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ভাস্কর্যটির উদ্বোধন হবে এ মাসেই। প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান আরও বলেন,’অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। এটি প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যায় হচ্ছে। এবং চীন থেকে রেডিমেট আকারে তৈরী হয়ে আসছে। শুধুমাত্র এটার এ্যাসেম্বলিংটা এখানে হবে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এটা শেষ হবে বলে আশা করছি।’
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।