ইসমাইল হানিয়াহ ফের হামাসের প্রধান নির্বাচিত
ইসমাইল হানিয়াহ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাসের প্রধান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের একাধিক সহিংস সংঘাতের বিরুদ্ধে লড়াই করা সশস্ত্র সংগঠনটির ওপর হানিয়াহর নিয়ন্ত্রণ স্পষ্ট হচ্ছে।
হানিয়াহ ২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান। এর মধ্যে প্রথম দুই বছর তিনি ছিলেন তুরস্কে। আর বিগত দুই বছরে ধরে রয়েছেন কাতারে। ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীর থেকে বিচ্ছিন্ন গাজা উপত্যকার রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এই হামাস।
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ নিয়ে মে মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ১১ দিনের যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হানিয়াহ। ওই যুদ্ধে গাজায় আড়াই শতাধিক এবং ইসরায়েলে ১৩ জন নিহত হয়। আর ওই যুদ্ধের অবসান ঘটে মিসরের মধ্যস্থতায়।
পার্টির সদস্যদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের পর এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘ভাই ইসমাইল হানিয়াহ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার দাবিতে চলা এই আন্দোলনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।’ তার মেয়াদ হবে চার বছর।
হানিয়াহর বয়স ৫৮ বছর। হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ‘ডানহাত’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে হুইলচেয়ারে করে চলাফেরা করা শেখ আহমেদ ইয়াসিন খুন হওয়ার পর থেকে হামাসের নেতা হিসেবে তার উত্থান ঘটে।
হানিয়াহর নেতৃত্বে ২০০৬ সালে হামাস রাজনীতিতে প্রবেশ করে। ওই বছর ফিলিস্তিনের নির্বাচনে সবাইকে অবাক করে জয়ী হয় হামাস। হেরে যায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নেতৃত্বাধীন ফাতাহ পার্টি। তখন থেকে হামাস গাজা শাসন করে আসছে।
২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে হওয়া ওই নির্বাচনের পর হানিয়াহ প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভূক্ত করে।
এরপর হামাস স্বল্পস্থায়ী এক গৃহযুদ্ধে ২০০৭ সালে ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাজা দখল করে নেয়। আর হামাসকে বিপদজনক অভিহিত করে ইসরায়েল গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে। তখন থেকেই গাজা অবরুদ্ধ।