ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : ফরিদপুর সদর উপজেলার ডোমরাকান্দি গ্রামে ৫৩ শতাংশ ভিপি সম্পত্তি শাজাহান গং অবৈধ ভাবে লিস নিয়ে জমি দখলে রাখে দীর্ঘদিন। পরবর্তিতে জমির প্রকৃত মালিক আব্দুর রাজ্জাক প্রামিনক ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ জজ আদালত উক্ত জমি রাজ্জাক প্রমানিক এর নামে রায় দেন এবং প্রতিপক্ষের নামে থাকা লিস এর জমি খারিজ হয়। পরে রাজ্জাক প্রামানিক জমি দখলে গেলে শাজাহান গংরা হুমকি ধামকি এবং জীবন নাশের ভয় দেখায়।
বিষয়টি রাজ্জাক প্রামানিক সদর এসিল্যান্ডকে অবগত করলে শাজাহানগংরা পুনরায় কোন গন্ডগোলের সৃষ্টি করবে না মর্মে এসিল্যান্ড অফিসে মুচলেকা দিয়ে আসে। আজ ২৮ শে জুলাই বুধবার সকাল ১১ টার সময় এ্যাসিলেন্ড এর নির্দেশক্রমে কাননগো লিল সরকার ও সদর তহশিলদার মান্নান সাহেব সরকারি রায় অনুযায়ি জমি আব্দুর রাজ্জাক প্রমানিককে বুঝিয়ে দিতে গেলে শাজাহানগংরা অন্তত ১০/১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা করে। এতে গুরুতর হাড় ভাংঙ্গা জখম হয় আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিক (৬০) ছেলে হিমেল প্রামানিক (২৫), রায়হান প্রমানিক (২৩)। পরে স্থানীয়রা গুরুতর হাড় ভাংঙ্গা রক্তাত্ব জখম অবস্থায় প্রথমে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে পৌছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগির অবস্থা অবনতি হওয়ায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিস’ক জানান এক্সে রিপোর্ট অনুযায়ি হাড়ভাঙ্গা জখম হয়েছে, সেরে উঠতে সময় লাগবে। বর্তমানে আহত ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। উল্লেখিত বিষয়ে এ্যাসিলেন্ড অফিসে কর্মরত কাননগো জানান বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক ও পরিতাপের। শাজাহান গংদের অতর্কিত হামলায় আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি এবং পুলিশকে খবর দেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। কানোনগো জানান শাজাহানগংদের নামে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে কৈজুরী ইউনিয়নের সহকারি ভূমি অফিসার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে আহত আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিক জানান আমি সরকারি রায় পেয়ে জমি বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য যাই। সরকারি লোকজনের সামনে জমি না পাওয়ার আক্রোশে প্রতিপক্ষ শাজাহন মোল্লা মনি, আয়ুব আলি মোল্লা, আমজেদ মোল্লা, চয়ন মোল্লা, নয়ন মোল্লা, কামাল মোল্লা, রাকিব মোল্লা, সেলিম মোল্লাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন মিলে আমার হাত পা কুপিয়ে মারাত্বক জখমসহ আমার ছেলে হিমেল প্রামানিক, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের শারীরিক শিক্ষা ক্রীড়া বিভাগে এমএসসি শেষ বর্ষ এবং রায়হান প্রামানিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষে পড়ুয়া ছেলেদের কুপিয়ে হাড় ভেঙ্গে টুকরো করে ফেলে। আহতরা আরো জানান এই ডোমরা কান্দি গ্রামের শাজাহানগংরা পরিবারে সদস্য সংখ্যায় বেশি হওয়ায় লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করে এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করে আসছে। এ ছাড়াও মাদক ব্যাবসা, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ জোর করে সালিশির কথা বলে অসহায়দের টাকা আতœসাৎ ও এলাকায় ভূমিদস্যুসহ সকল অপকর্মের সেবক হিসাবে পরিচিত শাজাহান মোল্লা মনি। আহতরা মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় ও মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় এর নিকট হামলাকারিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাজাহান মোল্লা মনির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি গন্ডগোলের কথা স্বীকার করে জানান আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিক সরকারি ভাবে রায় না পেয়ে সদর এ্যাসিলেন্ড জোর করে দখল পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। জমিতে সরকারি লোক আসলে আমার ভাগ্নে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ঐ সময় বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। উল্লেখিত বিষয়ে সদর এ্যাসিলেন্ড জানান, বাংলাদেশের সব আদালত শেষ করেই চুড়ান্ত রায় প্রদান করা হয়েছে আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিক এর নামে। আদালতের রায় মোতাবেক জমির মালিক রাজ্জাক প্রামানিককে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমার অফিসার কানোনগো এবং তহশিলদার সরেজমিনে গেলে এদেরকে অপমানিত করে শাজাহান গং। আব্দুর রাজ্জাক প্রকৃত একজন ভালো মানুষ, তার কলেজ পড়–য়া ছেলেদের মারধোর করেছে। শাজাহান গংদের লাঠির জোর বেশি থাকায় আদালতের রায় হওয়া সত্ত্বে জমিটি রাজ্জাক প্রামানিক দখলে যেতে পারেনি।
সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে শাহাজান গংদের নামে মামলা হয়েছে। আহতদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে শাজাহান গংদের বিষয়ে কোতায়ালী থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।