রোববার (২৬ অক্টোবর) আমির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম জানান, সব জেলা ইউনিটের রুকন সম্মেলনে চলমান ভোটগ্রহণ চলতি মাসেই শেষ হলে নতুন আমিরের নাম নভেম্বরেই চূড়ান্ত করা হবে।
দলীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠার পর বিগত দেড় দশক জামায়াতে ইসলামী কঠিন সময় পার করলেও ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান’-এর পর দলটি কিছুটা স্বস্তির মধ্যে রয়েছে এবং ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করেছে। এর আগে গুঞ্জন ছিল, ডিসেম্বরেই দলের নতুন আমির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেই সময়সূচি এক মাস এগিয়ে এনে এখন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমির নির্বাচন কমিটির প্রধান এটিএম মাসুম বলেন, “প্রতিটি জেলায় রুকন সম্মেলনের মাধ্যমে আমির পদের ভোটগ্রহণ এ মাসেই শেষ হবে। পরে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তদের গণনাকৃত ভোট একীভূত করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।”
এদিকে দলটির আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, “তিন বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস আগে থেকেই জামায়াত অভ্যন্তরীণভাবে আমির নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নেয়। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা একটি প্যানেল গঠন করে। শূরা সদস্যদের গোপন ভোটে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া তিনজনকে সেই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সারাদেশের সব পুরুষ ও নারী রুকন সদস্যদের কাছে ওই তিনজনের নাম জানানো হয়। রুকন সদস্যরা এই তিনজনের মধ্য থেকে একজনকে আমিরে জামায়াত হিসেবে ভোট দিতে পারেন। চাইলে প্যানেলের বাইরে অন্য কাউকেও ভোট দেওয়া যায়—এই স্বাধীনতাও রুকনদের রয়েছে। যিনি সর্বাধিক ভোট পান, তিনিই আমিরে জামায়াত নির্বাচিত হন।”
বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর রুকনের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন, “প্রতি তিন মাস পরপর জেলা ও মহানগর ইউনিট থেকে আমাদের কাছে রিপোর্ট আসে। সেই হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে রুকনের সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।”
