মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাটে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সাতমাইল পশু হাট বন্ধ হওয়ায় বাগআঁচড়াসহ আশপাশের ইউনিয়নের সাধারন মানুষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রশাসনকে। তবুও ভয় কাটেনি এলাকার মানুষের মধ্যে। বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাট এলাকায় হু হু করে করোনা সংক্রমন বাড়তে থাকে। এখনও আতঙ্ক কাটেনি এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে। তবে হাট বন্ধ থাকায় এখন আর মানুষের ভিড় নেই। এলাকার মানুষ পশুর হাট বন্ধ করে তাদেরকে রক্ষা করার জোর দাবি জানিয়েছিলেন প্রশাসনকে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৬ জুন) সকালে শার্শার সাতমাইল পশু হাট বন্ধের ঘোষণা দেন যশোর জেলা প্রশাসন। দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়াসহ কয়েকটি জেলার গবাদিপশুর হাট বন্ধ করা হলেও দেশের দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় আর বেশি মানুষের সমাগম সাতমাইল পশুর হাটে গরু বেচাকেনা চলছিল। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় নানান মহলে ক্ষোভ ছিল। সর্বশেষ গত মঙ্গলবারও এ হাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে গবাদিপশু বেচাকেনা করা হয়। দেশে করোনার এ ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলার পশুর হাট বন্ধ করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে চলবে এ শর্তে সাতমাইল হাট পরিচালনার অনুমতি বহাল রাখে প্রশাসন। কিন্তু হাটে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি কোনোভাবে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা সম্ভব হচ্ছিল না। এতে স্থানীয় মানুষ করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে কয়েক জন মারা যায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে অবশেষে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ পশুর হাটটি আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, সীমান্তে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সাতমাইল পশুর হাট বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাগআঁচড়া সাতমাইল ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু তালেব মেম্বার বলেন, সাতমাইল হাট এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে ঠান্ডা জ্বর হওয়া মানুষ। হাটটি বন্ধ থাকলে মানুষ করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবীর বলেন, খুলনা বিভাগ সহ এ অঞ্চলে করোনা সংক্রমনের হার দিন দিন হু হু করে বাড়তে থাকে । মানুষকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হলে যতদিন শার্শা বাসীকে টিকার আওতায় না যাবে ততদিন সাতমাইল পশু হাটটি বন্ধ রাখতে হবে। প্রতি হাটে গিজগিজ করে মানুষ আর পশু। স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না হাটে। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মানুষ আসতেন সাতমাইল পশু হাটে। পশুরহাটে বন্ধ হওয়ায় এ অঞ্চলের সাধারণ জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে৷