আফগানিস্তানে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে দেশটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তালেবান। মঙ্গলবার দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে তুর্কি সেনাদের তারা দখলদার বাহিনী হিসেবে বিবেচনা করবে এবং এই দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করা হবে।
আগামি মাসের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান ছাড়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। একই সময়ের মধ্যেই ন্যাটো বাহিনীও দেশটি ছেড়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিদেশি বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের পর তুরস্ককে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত ৯ জুলাই তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান জানান, তার দেশের সেনারা কিভাবে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করবে তার সব দিক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিস্তারিত চুক্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে কথা হয়েছে। আঙ্কারা কাবুলে তার দায়িত্বের পরিধি সম্পর্কে ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দিয়েছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের ওই ঘোষণার কয়েক দিনের মাথায় মঙ্গলবার আফগানিস্তানে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে ফের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে তালেবান। দলটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও অজুহাতে আফগানিস্তানের মাটিতে বিদেশি বাহিনীর উপস্থিতিকে তারা দখলদারিত্ব হিসেবে বিবেচনা করে। এই দখলদারিত্বের সম্প্রসারণ আফগান ভূখণ্ডে তুরস্কের বিরুদ্ধে আপত্তি ও বৈরিতার আবেগ তৈরি করবে। ফলশ্রুতিতে আঙ্কারার সঙ্গে কাবুলের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে।
এদিকে সোমবার বিকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কাবুল বিমানবন্দর ইস্যু নিয়ে কথা বলেন তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিমানবন্দর যদি চালু না থাকে তাহলে বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তান থেকে তাদের কুটনৈতিক মিশন প্রত্যাহার করে নেবে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, রয়টার্স।