এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ৩৯ টন ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসপি ট্রেডার্স চীন থেকে পলিঅ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় এসব ঘনচিনি আমদানি করে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, পণ্যচালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের প্রতিনিধি, নগরীর জুবলি রোডের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট সি বার্ড কর্পোরেশন, গত ৭ অক্টোবর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন। তবে খালাস কার্যক্রম শুরু হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা তা স্থগিত করে।
পরবর্তীতে গত ২৮ অক্টোবর সি অ্যান্ড এফ প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পণ্যচালানের কায়িক পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। পরীক্ষায় দুই ধরনের পণ্য পাওয়া গেলে নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাব পরীক্ষায় ঘোষণা অনুযায়ী ২৪ টন পলিঅ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড এবং বাকি ৩৯ টন ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সোমবার রাতে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানির দায়ে কাস্টমস আইন, ২০২৩ অনুযায়ী পণ্যচালানটি আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ঘনচিনি একধরনের কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। অসাধু ব্যবসায়ীরা এটি মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক ও শিশু খাদ্যে ব্যবহার করে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ উপাদান গ্রহণে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুসারে এ উপাদানকে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
