ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত। দুজনের সঙ্গে দেশের খেলাধুলা নিয়ে কথা হয়েছে। সেখানেই আলোচনাকালে বাংলাদেশ, সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়ার ফুটবল নিয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনায় পাপন বাংলাদেশের ফুটবল জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরেন। সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়ার ফুটবল র্যাংকিং পার্থক্যটা অনেক বেশি হলেও পাপন জানিয়েছেন, এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ফুটবল লড়াই হলে দর্শক আগ্রহ ভরে চোখ রাখে।
বিশ্বকাপ ফুটবল দলে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কী ধরনের উন্মাদনা হয়, তা সৌদি এবং মালয়েশিয়ান রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। পাপন বললেন, ‘আমরা ফুটবল র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও দেশের ফুটবলকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমি অনেক ওপরে নিয়ে যেতে পারব না। তবে এটা ভালো জায়গায় নিতে চাই। এটা দুই বছরের মধ্যে করতে চাই, দেখা যাক কী করতে পারি।’
মালয়েশিয়ান নারী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় বলছিলেন পাপন। মালয়েশিয়ান নারী রাষ্ট্রদূত হাজনা হাশিম এসেছেন, কথা বলেছেন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মালয়েশিয়া দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। ফুটবল ব্যাডমিন্টন, মার্শাল আর্ট, টেনিস, স্কোয়াশ, গলফ, হর্স রাইডিং, সেইলিং, হকি প্রভৃতি খেলায় অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে হাফ ডজন প্রস্তাব দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে হয়। সহযোগিতা চায়। বিশেষ করে খেলার বুটসহ নানা উপকরণ তৈরি করতে শিল্প স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানায়। দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন আলোচনায় বাণিজ্যিক উন্নয়নের পাশে খেলাধুলায় কাজ করতে চায় সৌদি আরব।
সৌদি আরব এখন বিশ্ব ফুটবলে আলোচিত নাম। রোনালদো খেলছে সেখানে। আরও অনেক তারকাই এখন সৌদির ফুটবলে পা রাখছে। বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করার পথে সৌদি আরব। ফুটবল দুনিয়ার নজর কেড়েছে সৌদি আরব। কিন্তু ক্রিকেটে তারা উন্নতি করার পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে। পাপন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সৌদি আরব ক্রিকেটে সহযোগিতা চায় আর সৌদি আরব ফুটবলে ভালো করছে, আমরা সৌদি আরবের সহযোগিতা নিতে পারি। কীভাবে নেব সেটা এখনো চূড়ান্ত না। আমরা কাজ করি, দেখি কী করা যায়। এটা নিয়ে একটা চুক্তি হবে। তখন বুঝা যাবে কী হতে যাচ্ছে।’ সৌদি আরব তাদের ক্রিকেট উন্নয়নের বাংলাদেশের সহযোগিতা নেবে আর বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে ফুটবল, আর্চারি, ব্যাডমিন্টনে। সৌদি রাষ্ট্রদূত জানান, তার দেশ বাংলাদেশে ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুত শিল্পেও বিনিয়োগে আগ্রহী।
ক্রীড়ামন্ত্রী পাপন বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে দুই দেশের মধ্যে অচিরেই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলে ক্রীড়ার উন্নয়নে দুই দেশের দক্ষ অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কোচ ও কর্মকর্তা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হবে। পারস্পারিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সৌদি উন্নয়ন সহায়তা ফান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পোর্টস অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে।’