গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য হালখাতা। একসময় দোকানিরা হালখাতার আয়োজন করলেও কুড়িগ্রামে ব্যতিক্রমী এক হালখাতার আয়োজন করে সাড়া ফেলেছেন স্কুল শিক্ষক আব্দুল আউয়াল। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের থেকে পাওনা টাকা আদায়ে রীতিমতো চিঠি দিয়ে হালখাতা অনুষ্ঠান করেন তিনি।
বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনরা ধারের টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায়, ব্যতিক্রমী এক পন্হা অবলম্বন করলেন কুড়িগ্রামের আব্দুল আউয়াল। পাওনা টাকা আদায়ে রীতিমতো হালখাতার আয়োজন করে বসেন আউয়াল।
আব্দুল আউয়াল একজন স্কুল শিক্ষক। মাঝেমধ্যেই ধার দিতেন পরিচিত মানুষদের। কিন্তু ধারের টাকা ফিরে পেতে দেরি হওয়ায় ৩৫ জন দেনাদারের কাছে চিঠি পাঠান আউয়াল। চিঠিতে ঋণগ্রহীতাদের দাওয়াত দেয়া হয় হালখাতার অনুষ্ঠানে।
জানতে চাইলে এই শিক্ষক যমুনা নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বহু মানুষের কাছে টাকা পাওনা ছিল। এরপর এক বন্ধুর কাছে পরামর্শ করে এই অভিনব হালখাতা করার সিদ্ধান্ত নেই। অনেকেই টাকা ফেরত দিয়েছেন।
হালখাতার চিঠি পেয়ে অনেকে আগেই টাকা পরিশোধ করে দেন। বাকিরা হালখাতার আয়োজনেই ফিরিয়ে দেন আউয়ালের পাওনা টাকা।
ব্যতিক্রমী এই হালখাতার আয়োজনে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ঋণগ্রহীতারা।