আবু তালহা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে তিন বছরের বাচ্চাকে অননুমোদিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ বড়দের ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগ উঠেছে পল্লী চিকিৎসক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১১জুলাই) উপজেলার নুরনগর কাটাখালী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নুরনগর কাটাখালী বাজারের পল্লী ডাক্তার সফি আহমেদ এর ছেলে।
স্থানীয় ও কামারখন্দ থানা সূত্রে জানা যায়, ১১জুলাই সকালে উপজেলার নুরনগর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে আমেনা খাতুন(৩) এর পায়ের গোড়ালির উপরের অংশ টিনের সাথে লেগে কেটে গেলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার জন্য কাটাখালী বাজারের পল্লী ডাক্তার রফিকুল ইসলামের কাছে নিয়ে গেল তিনি আমেনা খাতুনের পায়ের কাটাস্থানে নিজেই স্বানীয় অবসের ইনজেকশন দিয়ে সেখানে ৯টি সেলাই করার পর ফার্মেসীতে অননুমোদিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ হুপিংকাশি ও ধনুষ্টংকারের ভ্যাকসিনের ভায়াল থেকে কিছু অংশ শরীরে পুশ করা মাত্র আমেনা খাতুন অচেতন হয়ে পড়লে তার বাবা পল্লী ডাক্তারকে কি ইনজেকশন পুশ করলেন দেখতে চেয়ে ভ্যাকসিনের ভায়াল হাতে নিয়ে দেখেন। ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই সময় এলাকাবাসীর মধ্যে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। বাবা আমেনা খাতুনকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছুটতে থাকেন। শেষে প্রায় ৮ঘন্টা পর আমেনা খাতুনের জ্ঞান ফিরে আসে। এই ঘটনায় বাদী হয়ে বাবা জাহিদুল ইসলাম কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন এবং তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার আশা করেন।
স্বানীয় বাসিন্দা আজাদ ও সফিকুর রহমান বলেন, এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের অবৈধ ঔষধ রফিকুল ডাক্তার বিক্রি করেছেন। এবার সে শিশু বাচ্চার জীবন নিয়ে খেলেছে। আমরা এর বিচার চাই।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিজয় বলেন, এই ঔষধটা ডিপথেরিয়া ও ধনুষ্টংকারের জন্য ব্যবহার করা হয়।এই ভ্যাকসিনটা কিশোর ও বড়দের জন্য ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে শিশুদের জন্য এটা প্রযোজ্য নয়। আবার এই ভ্যাকসিনের মেয়াদ আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে যা ব্যবহার করার অনুপযোগী।