ঢাকার মেরুল বাড্ডায় স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে তারা আত্মহত্যা করেছেন, না তাদের হত্যা করা হয়েছে– সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ খবর পেয়ে বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতাল থেকে বৃষ্টি খাতুন নামের ৩৩ বছর বয়সী এক নারী এবং তার ১০ বছর বয়সী মেয়ে সানজা মারুয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মেয়েটি স্থানীয় একটি ইংরেজি মাধ্যমের মাদ্রাসায় পড়ত। এ ঘটনায় বৃষ্টির স্বামী এসএম সেলিমকে পুলিশ আটক করেছে।
পশ্চিম মেরুল বাড্ডায় জমসেদ টাওয়ার নামের একটি ভবনের অষ্টম তলায় থাকত পরিবারটি। ভবনটি সেলিমের নিজেদের সম্পত্তি। তাদের ৮ মাস বয়সী আরেকটি সন্তান রয়েছে।
বাড্ডা থানার এসআই সাদেক মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ফরাজী হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেন তারা। বুধবার সকালে দুজনের লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়।
সাদেক মিয়া বলেন, “এটি হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা তা তদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃষ্টির স্বামী এসএম সেলিমকে আটক করা হয়েছে।”
বৃষ্টি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার চাষারী গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে। তার মামা সোহেল শিকদার হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, তার ভাগ্নিকে ‘বিষ জাতীয় কিছু প্রয়োগ করে এবং বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা’ করা হয়েছে। তার মেয়ে সানজা দেখে ফেলায় তাকেও ‘হত্যা করা হয়েছে’।
সোহেল শিকদারের অভিযোগ, বৃষ্টির স্বামী সেলিম অনেকের সঙ্গে ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক’ রক্ষা করছিলেন। সম্প্রতি তিনি কক্সবাজারে গেলে এ নিয়ে বৃষ্টির সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। বৃষ্টি তার ‘লাগামছাড়া আচরণের’ প্রতিবাদ জানালে তাকে ‘হত্যা করা হয়’ বলে দাবি সোহেলের।