কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়ায় গরুর বৈধতার প্রমাণ হিসেবে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান। প্রত্যয়নপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনার ঝড় উঠে।
এসএম রুবেল নামে একজন ফেসবুকে লেখেন- গরুর রচনার পর এবার এলো গরুর প্রত্যয়ন। কিন্তু প্রত্যয়নপত্রের কোথায়ও লিখলেন না জন্মসূত্রে গরুটি বাঙালি না বার্মাইয়া।
এদিকে এ প্রত্যয়নপত্রের জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদাও দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খামারিরা।
সচেতন মহলের অভিযোগ, মূলত সীমান্ত দিয়ে আসা মিয়ানমারের চোরাই গরু নির্দ্বিধায় বেচাবিক্রিতে সহায়তায় এ প্রত্যয়ন প্রদান করা হচ্ছে।
গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকের অভিযোগ, অবৈধভাবে আসা অনেক গরুও পরিষদ থেকে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে বৈধতা দিচ্ছেন চেয়ারম্যান।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমানের বিরুদ্ধে বার্মিজ গরুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও পরিষদের নামে নিয়মবহির্ভূত প্রতি গরু থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে কচ্ছপিয়ার চেয়ারম্যান বলেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বিপুলসংখ্যক গরু আনছেন চোরাকারবারিরা। ফলে দেশীয় খামারিরা পড়েছেন বিপাকে। দেশীয় গরুগুলোকেও অবৈধ ভেবে অভিযান চালানো হয়। তাই স্থানীয় খামারিদের গরুগুলো যাচাই বাছাই করে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে পরিষদ থেকে। যাতে বৈধ ও অবৈধ গরু চিহ্নিত করতে সহজ হয়।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহমিদা মোস্তফা বলেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন। অবৈধ গবাদিপশু চোরাচালান রোধে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।