নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের সিএনজি ট্যান্ড থেকে ২ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের প্রথমে বারদী আশ্রম ফাঁড়িতে রাখা হয়, পরবর্তীতে থানায় পাঠানো হয়। আটককৃতরা হলো-বারদী ইউনিয়নের চেঙাকান্দি গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক মৃত ইসলামের জমজ দুই ছেলে জুয়েল, সোহেল ( ৩৩), একই এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের ছেলে বাবু (২০) ও কুমিল্লার দেরউস গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে ফুল মিয়া। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেঙাকান্দি গ্রামেরগ্রাম্য চিকিৎসক মৃত ইসলামের জমজ দুই ছেলে একাধিক মামলার আসামী জুয়েল ও সোহেলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে।
গত বুধবার রাতে কুমিল্লার দরউস গ্রামের সুন্দর আলী নদী পথে এসে তাদের নেতৃত্বে এলাকায় গাঁজা বিক্রি করছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই কেজি গাঁজা মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ ও স্থানীয়রা গাঁজাসহ তাদের আটক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, জমজ দুই ভাই সোহেল ও জুয়েল (৩৩) স্থানীয় বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুলের সহযোগী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে ও বিভিন্ন দলীয় প্রোগ্রামে কাজ করেছে। দুই ভাই ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুলের ডান হাত ও বাম হাত হিসেবে পরিচিত। ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে বেক্তিগত সম্পর্কে থাকার সুবাধে, চেয়ারম্যান নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে বারদী ইউনিয়নে সকল জনসাধারণের সাথে আমার চলাচল রয়েছে। মাদক নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমি অটল। সে যদি আমার আপন ভাইও হয় ছার নেই। সোহেল ও জুয়েল অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত আছে কি না আমার জানা নেই। যদি তারা অপরাধী হয়ে থাকে, আমি সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। এলাকাবাসী আরো জানায়, বারদী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে জুয়েল ও সোহেলের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তারা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, চুরি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক তদন্ত মো আহসান উল্লাহ বলেন, দুই কেজি গাঁজাসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।