করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রীদের চাহিদার কারণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবর্তিত সময় অনুযায়ী ফ্লাইট চালু করছে।
বর্তমানে বেসরকারি এ বিমান সংস্থাটি ব্র্যান্ড নিউ এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে পাঁচটি, যশোরে পাঁচ, সৈয়দপুরে চার এবং সিলেট রুটে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
প্রত্যেকটি রুটেই সব ধরনের ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে আড়াই হাজার টাকা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম জানান, যে কোনো পরিবহনের তুলনায় সময় বিবেচনায় এয়ারলাইনস সেক্টরের সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তারা যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্বল্পপরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটে আকাশপথে রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে সকাল ৭টা, বেলা সাড়ে ১১টা, বিকাল সোয়া ৩টা, সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত সাড়ে ৮টায় ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
আবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে সকাল ৮টা ২৫ মিনিট, দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিট, বিকাল ৪টা ৪০ মিনিট, রাত ৮টা ২৫ মিনিট ও ৯টা ৫৫ মিনিটে।
ঢাকা থেকে যশোরে সকাল ৯টা ১৫ মিনিট, বেলা ১টা ৪৫ মিনিট, বেলা ২টা ৩০ মিনিট, বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হচ্ছে। আবার যশোর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে সকাল সাড়ে ১০টা, বেলা ৩টা, ৩টা ৪৫ মিনিট, বিকাল ৫টা ১৫ মিনিট এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট, ১০টা, বেলা ১টা ও বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হচ্ছে। আবার সৈয়দপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে সকাল ১০টা, ১১টা ৩০ মিনিট, বেলা ২টা ৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭টায়।
ঢাকা থেকে সিলেটে সকাল ৯টা ১৫ মিনিট ও বিকাল ৪টায় ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হচ্ছে। আবার সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট ও বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে।
বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে ১৩টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ছয়টি ব্র্যান্ড নিউ এটিআর ৭২-৬০০ ও তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট।
খুব শিগগির ঢাকা থেকে রাজশাহী, বরিশাল ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে ইউএস-বাংলা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রুট ঢাকা থেকে গুয়াংজু সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এ ছাড়া ইউএস-বাংলার কার্গো ফ্লাইট ও স্পেশাল ফ্লাইট পরিচালনা অব্যাহত আছে।