আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এবং বিএনপির চলমান কর্মসূচি ও সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার অভিযোগসহ নানা ইস্যুতে একের পর এক কর্মসূচি পালন করছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন গুলো।
এসব কর্মসূচিতে সরকার বিরোধী নানা বক্তব্যে দিচ্ছে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা। তবে বিএনপির চলমান এই কর্মসূচিগুলো ঘিওে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ, এমনটাই জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগও নেতাকর্মীদের মাঠে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আগামী নভেম্বরের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও মেয়াদোত্তীর্ণ নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সম্মেলন শেষ করতে চায়।
পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের মেয়াদোত্তীর্ণ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নতুন কমিটি গঠনের জন্য প্রক্রিয়া চলছে । আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এর আগেই এসকল কমিটিগুলো গঠন করা হলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন গুলো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হবে। ফলে রাজনীতির মাঠে দলীয় শক্তির মহড়া দিবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ।
তবে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র থেকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে পরিস্থিতি পর্যেবক্ষণে রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মহাসমাবেশ ঘিরে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে, বিশেষ করে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। এমনটি জানিয়েছেন দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান জানান, বিএনপি যখনই কোনো বড় কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তখনই সরকার কৌশলে পরিবহন মালিকদের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সম্প্রতি ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। পথে পথে সরকারি দলের নেতারা লাঠিসোঁঠা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। পুলিশ বাধা দিয়েছে। বহু স্থানে ঘটেছে সংঘর্ষও।
ঢাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে এমন দৃশ্যপট হতে পারে। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন গুলো সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা করে সবধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এতে করে পুলিশ প্রশাসন নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে তলাশি চালাচ্ছে । আওয়ামীলীগ ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা বেশ কয়েকটি স্থানে নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে।
তারা আরও জানান, শুধু তাই নয় ১০ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে পুলিশের মামলা ও গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে । এছাড়াও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বাধার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে ক্ষমতাশালী আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সকল বাঁধা মোকাবেলা করেই ঢাকার গণসমাবেশে যোগদান করবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন গুলো। এবং সেই মহাসমাবেশ থেকেই সরকারের পতনের আন্দোলনের ডাক আসবে। সেই ডাকে বিএনপিসহ সারাদেশে জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।