ঘরোয়া ফুটবলের বড় প্রতিযোগিতা প্রিমিয়ার লিগ। ১২ দলের এই লড়াই শুরু হচ্ছে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। করোনায় ভেন্যু সংখ্যা কমে গেলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ কমছে না মোটেও। বরং কেউ কাউকে নাহি ছাড়ি অবস্থা। বড় দলগুলোর সঙ্গে হুঙ্কার দিচ্ছে মাঝারি কিংবা অপেক্ষাকৃত ছোট দলও!
স্থানীয় একটি হোটেলে রবিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১২ দলের অধিনায়ক নিজেদের লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেছেন। লক্ষ্যের পাশাপাশি কেউ কেউ তো মজা করে নিজেদের প্রিয় খাবারের কথা বলতেও ভোলেননি। মুক্তিযোদ্ধার জাপানি ফুটবলার তেতসুয়াকি মিসুয়া যেমন মজা করে বলেছেন, ‘আই লাইক কাচ্চি বিরিয়ানি।’
তবে এই বিরিয়ানি খাওয়ার লোভ সামলাতে না পারলে যে, ফিটনেসের অবস্থা করুণ হতে পারে। সেই ব্যাপারেও সতর্ক করলেন রহমতগঞ্জের অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান কিরণ, ‘শুধু বিরিয়ানি খাওয়ার কারণে পেট বেড়ে গিয়েছিল। এগুলো তো ক্লাব করে না, ব্যক্তিগতভাবে করি। তো আমরা চাইলেই এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।’
রসিকতার সঙ্গে আবার সিরিয়াস ভঙ্গির কথাও বলেছেন অধিনায়করা। যেহেতু লিগ শিরোপা সবার লক্ষ্য। ট্রেবল জয়ের অপেক্ষায় থাকা আবাহনীর অধিনায়ক নাবীব নেওয়াজ জীবন বলেছেন, ‘আমরা লিগের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। যদিও সহজ নয়, তবে শিরোপার জন্য খেলবো এবং আশা করি শিরোপা জিতবো।’
তাদের মতো লিগ জেতার জন্য মুখিয়ে বসুন্ধরা কিংস অধিনায়ক রবিনিয়োও। আগের হতাশা ঝেরে এই ফুটবলারের আশা, ‘এখানে খেলতে পেরে খুবই খুশি। ব্রাজিলে থাকা পরিবার ও বন্ধুরাও খুশি। একটা কাপ মিস করেছি, এটা কোনও ব্যাপার নয়, এটাই ফুটবল। কখনও জিতবো, কখনও হারবো। কিন্তু চেষ্টা করবো লিগ জয়ের।’
লিগ জিততে চাইছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও। তবে কঠিন চ্যালেঞ্জের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে তাকে, ‘অবশ্যই আমরা এ বছর জয়ের চেষ্টা করবো। যদিও কঠিন। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন ৫-৭টা দল শিরোপার জন্য লড়বে। আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
মোহামেডানের মালির অধিনায়ক সোলেমানে দিয়াবাতে অবশ্য লিগে সেরা চারটি দলের একটি হতে চাইছেন, ‘আশা করি, মেহামেডান ভালো করবে। সেরা চারে থেকে লিগ শেষ করতে চাই আমরা।’