মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, নিউজার্সি এবং ভার্জিনিয়া স্টেটে শুক্রবার রাতেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন এলাকা এবং বোস্টনসহ তুষার-ঝড় কবলিত এলাকার এয়ারপোর্টসমূহে ৫ হাজারের অধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দূর পাল্লার রেল ও বাস চলাচল সীমিত রয়েছে।
জানা গেছে, নর্থ ক্যারলিনা থেকে ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, পেনসিলভেনিয়া, দেলওয়ারে, নিউজার্সি, কানেকটিকাট, নিউইয়র্ক, ম্যাসেচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, মেইন, নিউ হ্যমশায়ার স্টেটে শনিবার ভোর রাতে শুরু হয়েছে হ্যারিকেনের মত শীতকালীন তুষার ঝড়ের তাণ্ডব। কোথাও কোথাও এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ মাইলেরও বেশি বলে মার্কিন আবহাওয়া দফতর উল্লেখ করেছে। উল্লেখ্য, চলতি মাসে এটি হচ্ছে চতুর্থতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ঘরের বাইরে যাবার প্রয়োজন হচ্ছে না সিংহভাগ মানুষের। সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চলাচলও খুব একটা চোখে পড়েনি। টহল পুলিশ, দমকল বাহিনী আর রাস্তাগুলোতে বরফ গলিয়ে ফেলার লবন ছিটানোর গাড়ি ছাড়া কিছুই নজরে আসেনি দুর্যোগে আক্রান্ত জনপদে।
করোনায় ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা থেকে সাহস করে জেগে উঠার পরিক্রমায় এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞলীয় এসব এলাকার মানুষকে কিছুটা ঘাবড়ে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ আড়াই ফুটেরও বেশী বরফ জমতে পারে ম্যাসাচুসেট্স স্টেটের বস্টন সিটিতে। জাতীয় আবহাওয়া দফতর আশংকা করছে বস্টনে একদিনে তুষারপাতের অতীত রেকর্ড ২৭.৬ ইঞ্চি এবার ভাঙতে পারে ৩০ ইঞ্চি তুষারপাতে। রোড আইল্যান্ড স্টেট এবং নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড এলাকায়ও ৩৬ ইঞ্চির মত তুষারপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর এবং স্থানীয় প্রশাসন। নিউইয়র্ক সিটিতেও শনিবার সন্ধ্যা (বাংলাদেশ সময় রবিবার সকাল) নাগাদ ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় স্টেটসমূহের প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ এ দুর্যোগের কবলে পড়েছেন। এরমধ্যে ৫ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।