আওয়ামী লীগ সুশাসন ও দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তির তুলে ধরার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছিল বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন। আজ মঙ্গলবার সকালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘মানবিক নীতিবোধ: বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনার আমার মধ্যে ঝগড়া থাকতে পারে কিন্তু আপনার আমার ঝগড়ায় যখন দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দেওয়া হয় তখন খুবই দুঃখজনক। আওয়ামী লীগ সুশাসন এবং দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তির তুলে ধরার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি যাতে না হয়…তারা যখন লবিস্ট নিয়োগ করেছিল—এদের শাস্তি হবে না। তখনো আওয়ামী লীগ সেই ভুল ধারণা বদলাতে আমরা বলি এটা পিআর ফার্ম…নিয়োগ করেছিল সরকার। এগুলো অনেক দিন ধরেই আছে, নতুন না। এরশাদের সময় থেকেই এগুলো প্রচলিত আছে। কাল আমি এগুলো কিছুটা বলবো।
দুঃখের বিষয় হলো, দেশের ক্ষতি হলে…আপনি অন্য লোককে নিয়োগ করেছেন দেশের ক্ষতি করার জন্য, ওকে মেরে ফেলার জন্য, কিডন্যাপ করার জন্য—এগুলো দেশবাসী কোনোভাবেই গ্রহণ করবে না, বলেন তিনি।
৮ বছর ধরে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে সেই প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে। সেই তথ্য আপনারা কেন আগে পেলেন না, কেন কাউন্টার দিলেন না, সেটা গোয়েন্দা ব্যর্থতা নাকি কূটনৈতিক ব্যর্থতা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমাদের আগে আপনারা জানতে পারলেন না কেন? আপনারা মিডিয়ার লোক, আপনাদের এগুলো বেশি জানা উচিত। আমরা তো কারো পিছনে লেগে থাকি না।
এসব খোঁজ রাখা গোয়েন্দা সংস্থা বা আমাদের ওয়াশিংটন দূতাবাসের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো আপনাদেরও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এগুলো তো সবই ওয়েবসাইটে আছে। আপনি ওয়েবসাইট খুলতেই দেখতে পাবেন। এগুলো কোনো কিছু লুকানো নেই।
এটা মিডিয়ার ব্যর্থতা, সরকারের না—প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনি নিজে পারবেন না কেন?
র্যাবকে নিষিদ্ধ করার জন্য দুয়েক জন সদস্য চিঠি দিয়েছেন, শান্তিরক্ষী মিশন নিয়ে আমরা কি কোনো বিপদে পড়তে যাচ্ছি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউএন যখন শান্তিরক্ষী লোক নেয়, তারা যাচাই-বাছাই করেই নেয়। সুতরাং আমরা এই নিয়ে খুব চিন্তিত না।