ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে ঘুষ লেনদেনের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন অফিস সহকারী রোকনুজ্জামান রকি। এতে এলাকাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সালেক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বারইখালী গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আল মামুন নতুন ভোটার হতে গিয়ে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন। এই ঘুষ নেন উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক রোকনুজ্জামান রকি। বিষয়টি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অফিসে হুলস্থূল পড়ে যায়। আল মামুন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে বলেন, রকি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করছেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন, হারানো বা স্থানান্তরের আবেদনসহ বিভিন্ন অজুহাতে ঘুষ দিতে হয় ওই দফতরে। চাহিদামতো টাকা না দিলে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
তবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান ভিন্ন কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন ঘুষ লেনদেনের ঘটনাটি পরিকল্পিত। তিনি আরও দাবি করেন, তাকে ফাঁসানোর জন্যই ঘটনাটি সাজানো হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক জানান, টাকা লেনদেনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী রোববার (১৬ই জানুয়ারি) ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।