গত এক বছর ধরে প্রশংসাআন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে সাড়া জাগানো ছবি ‘নোনাজলের কাব্য’ এখন দেশেও প্রশংসা কুড়োচ্ছে। গত ২৬ নভেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ছবিটি প্রদর্শিত হচ্ছে ঢাকায় স্টার সিনেপ্লেক্সের পান্থপথ বসুন্ধরা শপিং মল, মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার, ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার ও মিরপুর সনি সিনেমা শাখায়। এছাড়া ঢাকায় শ্যামলী সিনেমা, যমুনা ব্লকবাস্টার মুভিজ, নারায়ণগঞ্জের সিনেমাস্কোপ, চট্টগ্রামের সিলভারস্ক্রিন ও সুগন্ধা সিনেমা এবং বগুড়ার মধুবন সিনেমা হলে। এই কয় দিনে ছবিটি বাংলাদেশের দর্শক ও চলচ্চিত্র প্রেমীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ও তাদের প্রশংসা পাচ্ছে।
২৫ নভেম্বর রাতে গালা প্রিমিয়ারে ছবিটি দেখে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, ছবিটি দেখে আমার মনে হয়েছে, এটি একটি অসাধারণ ছবি। এই ছবির গল্পটার মাধ্যমে অনেকগুলো বিষয়কে স্পর্শ করা হয়েছে এবং অনেক পরিমিতিবোধ কাজ করেছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, নোনাজলের কাব্য ছবিটিতে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ও নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে একটি বড় বার্তা রয়েছে। আমার মনে হয়, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সারা বিশ্বের বিবেককে জাগ্রত করার জন্য এর চেয়ে শক্তিশালী বার্তা আর হতে পারে না। সকল দিক দিয়ে এটি একটি অসাধারণ ছবি। আমরা বলি, চলচ্চিত্র সমাজ পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। আমার মনে হয়, এই সিনেমার মাধ্যমে আবারও তা প্রমাণিত হয়েছে।
গত শনিবার ছবিটি দেখে অভিনেত্রী ও মডেল আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘সাগরপাড়ের মানুষের সংগ্রামী জীবনের এক অসাধারণ গল্প এটি। দৃশ্যগুলো এখনো চোখে লেগে আছে। মনে জায়গা করে বসে আছে টুনি’।
অভিনেতা নরেশ ভূইয়া বলেন, একজন দর্শক হিসেবেই আমি ছবিটি দেখেছি। আমার একটি বারও মনে হয় নি, এটি পরিচালক সুমিতের প্রথম ছবি। তাঁর মতো নির্মাতারা ছবি নির্মাণে এগিয়ে আসলে আমাদের সিনেমা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
দীর্ঘ ৭ বছরের যাত্রা শেষে মুক্তি পেলো পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত এর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’। তিনি বলেন, “নোনা জলের কাব্য বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবিটি যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে, এমনকি COP26 এও প্রশংসা কুড়িয়েছে। সম্প্রতি আমরা পটুয়াখালী জেলার প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে তিনটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলাম যার প্রত্যেকটি সফল হয়েছে। নোনা জলের কাব্য- জেলেদের নিয়ে নির্মিত ছবি, তাই প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের আগে তারাই এটি সবার আগে দেখেছে। গত শুক্রবার দেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। আমি এই ছবির মাধ্যমে আমি শুধু জলবায়ু যোদ্ধাদের জীবনেই পরিবর্তন আনতে চাই না, বরং ধর্ম সংক্রান্ত সহিংসতা বন্ধের জন্যও ভূমিকা রাখতে চাই।”
‘নোনা জলের কাব্য’ ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, এবং তাসনোভা তামান্না। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। এই ছবির টাইটেল স্পন্সর ফ্রেশ এবং পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স।