পণ্য রপ্তানিতে পণ্যজট এড়াতে ঢাকার পাশাপাশি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে রপ্তানি সুবিধা চালু হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজের চারটি স্ক্যানার মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ পণ্যজট তৈরি হয়। পরে জট সামলাতে রপ্তানিকারকদের চাপের মুখে দুটি মেশিন চালু করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের পণ্যজট কমাতে সিলেট বিমানবন্দরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজের পণ্যজট সমস্যা সমাধানে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে গঠন করা ওই কমিটিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিরাও ছিলেন। ওই কমিটির প্রতিবেদনে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানির জন্য আলাদা কার্গো ভিলেজ তৈরির প্রস্তাব করা হয়।
কমিটির সদস্য ছিলেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন।
তিনি জানান বাংলাদেশ থেকে পোশাকের ক্রয়াদেশ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
একই সঙ্গে কৃষিজাত পণ্যেরও রপ্তানি বাড়ছে।
এখন শুধু শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ দিয়ে পণ্য রপ্তানি হয়। সেখানে পণ্য স্ক্যানের জন্য সচল আছে মাত্র দুটি স্ক্যানার। দুটি স্ক্যানার দিয়ে বিপুল পণ্যের চাপ সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই বিকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজ তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে।