অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এ দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্ররা যখন নিজেরাই হলে প্রবেশ করছে, তখন শিক্ষামন্ত্রী তড়িগড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করে সব পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে। দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। তিনি বলেন, কাদের মির্জা ও আওয়ামী লীগের সার্কাসের রাজনীতির শিকার হয়ে একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সাংবাদিক সংগঠনগুলো আজ কোথায়? নুর বলেন, গণমাধ্যম সংকটময় সময় পার করছে।
তারা স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারছে না।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, বাংলার ছাত্রসমাজ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে। সরকার মনে করেছে, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তাদের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। যে কারণে চক্রান্তের নীলনকশা অনুযায়ী ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই সরকার কোনো কিছুকেই ভয় পায় না, তারা শুধু ছাত্র আন্দোলনকে ভয় পায়। ছাত্র আন্দোলন দমিয়ে রাখার জন্যই ক্যাম্পাস খুলে দেয়া হচ্ছে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি ধবংসের পর সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধবংস করতে চায়। সমস্ত কিছু চলছে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ করেই তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।