রাজনৈতিক বৈরিতায় দীর্ঘদিন হয় না ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। একমাত্র ভরসা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। কিন্তু সেখানেও এবার ‘রাজনীতির গন্ধ’! এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ভারতে। প্রতিযোগিতাটিতে অংশ নিতে হলে পাকিস্তানি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের ভিসা দরকার। আর এই ভিসা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
ভিসা ইস্যু পিসিবি অনেক আগেই তুলেছে। এবার তাদের কণ্ঠ আরও জোরালো। ভারতের কাছ থেকে ভিসা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে ‘লিখিত নিশ্চয়তা’ না পেলে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলার ‘হুমকি’ দিয়েছে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে তারা ভারত থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি জানাবে। পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি জানিয়েছন, আইসিসির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হচ্ছে এবং ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিবেচনায় রেখেছে।
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে রাজি পাকিস্তান, তবে তাদের চাওয়া ভিসা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা লিখিতভাবে দিতে হবে ভারত সরকারকে। আজ (রবিবার) লাহোরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেটাই জানিয়েছেন মানি, ‘আমাদের সরকার (পাকিস্তান) কখনও বলেনি আমরা খেলতে পারবো না (ভারতে)। আমরা আইসিসির সঙ্গে একমত হয়েছি যে আমরা অংশ নেবো এবং আমরা এটার বিরোধিতা করতে পারি না। আইসিসি পর্যায়ে স্পষ্ট বলে দিয়েছি, আমরা ভারত সরকারের কাছ থেকে ভিসার লিখিত নিশ্চয়তা চাই; আর সেটা শুধু আমাদের দল ও স্কোয়াড নয়, আমাদের ভক্ত, সাংবাদিক ও বোর্ড কর্তাদের জন্যও।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভিসার ঝামেলা দূর করতে গত বছরের অক্টোবরেই আইসিসির দারস্থ হয়েছিল পিসিবি। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান সে সময় জানিয়েছিলেন, তারা ভারতের ভিসা পাওয়ার ব্যাপারে আইসিসির নিশ্চয়তা চান এবং ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছ থেকে উত্তর জানতে অপেক্ষা করবেন ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত।
সেই সময় পার হয়ে গেছে। নতুন করে আইসিসি মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এই সময়ের মধ্যেও যদি আইসিসি সমাধানে আসতে না পারে, তাহলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাবে পাকিস্তান। পিসিবি চেয়ারম্যানের ভাষায়, ‘এই বিষয়টাতে (ভিসার সমাধান) আইসিসি কিছুটা অবহেলা করেছে। তারা আমাদের বলেছিল, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়ে যাবে, কিন্তু হয়নি। জানুয়ারিতে বিষয়টি আমি আবারও উপস্থাপন করি এবং ফেব্রুয়ারিতে সরাসরি কথা বলি আইসিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে। এরপর কথা বলেছি আইসিসি ম্যানেজমেন্টর সঙ্গেও।’
কী বলেছেন, পরের কথায় সেটাও জানালেন মানি, ‘তাদের বলেছি, মার্চে ভিসা সংক্রান্ত বিষয়টির পরিষ্কার সিদ্ধান্ত জানতে চাই আমি। তারা আমাদের মার্চের শেষে কথা বলেছে। যদি এই সময়ের মধ্যেও (সিদ্ধান্ত) না আসে, তাহলে আমি প্রতিযোগিতাটি ভারত থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়ার দাবি জানাবো।’