
মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: “হারবে ধর্ষক, জিতবে দেশ, ধর্ষণ মুক্ত বাংলাদেশ “এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারীর প্রতি সহিংসতা, হত্যা,ধর্ষণের দ্রুত বিচারের দাবিতে শার্শার নাভারন-সাতক্ষীরা মোড়ে ৭দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের উদ্যোগে শার্শার নাভারন সাতক্ষীরা মোড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে ৭দফা দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
এসময় মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, নাভারণ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিযয়ক সম্পাদক আসিফ উদ-দৌলা সরদার অলোক, মানবাধিকার হেল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান, যশোর জেলা সেবক সংগঠনের সভাপতি মতিয়ার রহমান, নাভারণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, নাভারণ মহিলা কলেজের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম বুলি, শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বদ্ধনাথ কুমার,সালমা খাতুন, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি,সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাসেল ইসলামসহ আরও অনেকে।
এসময় বক্তারা বলেন, সারা দেশের ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পৃক্ত। নিপীড়ন ও ধর্ষণকারীরা জানেন তাদের কোনো বিচার হবে না, শাস্তি হবে না। এ কারণেই তারা যা খুশি তাই করছেন। বিগত বছর চেয়ে চলতি বছরে ধর্ষণ অনেক গুন বেড়ে গেছে।বক্তরা নোয়াখালী বেগমগঞ্জ, সিলেট-খাগড়াছড়িসহ সারাদেশে ধর্ষণের সাথে জড়িতদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
সাতদফা দাবি সমুহ (১) ধর্ষণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা।
(২) ধর্ষণ প্রতিরোধে প্রতিটি জেলায় র্যাব, বিজিবি, পুলিশের যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা। (৩) ধর্ষন জনিত ঘটনা বা অপরাধের জন্য আলাদা দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং ৩০-৬০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকার্য সম্পাদনা নিশ্চিত করা। (৪) ধর্ষিতার বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং তার পরিবারকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা। (৫) ইতিপূর্বে সকল ধর্ষন মামলার রায় ৬মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা। (৬) ধর্ষন ও অপরাধ প্রতিরোধে নির্জন রাস্তায় সচল সিসিটিভি স্থাপন করা।(৭) ধর্ষণ কারী ও তার পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা।এবং আশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।