মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: মহামারি করোনাকালীন সময়ে সব ধরনের সবজির দামের পাশাপাশি বেড়েছে কাচা মরিচের দাম। তিন থেকে ৭ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম ২০০ শত টাকায় পৌঁছেছে। কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ টাকা এবং সব ধরনের সবজির দাম ৪ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব সবজির দাম। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ইচ্ছামাফিক দাম বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের পকেট কাটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
গতকাল রবিবার(২৩ শে আগস্ট) সকালে সরেজমিনে বেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, খিরই ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করোল্লা ৮০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কাকরল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তিন থেকে চার দিন আগে কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, খিরই ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পটল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩২ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, করোল্লা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কাকরল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
রবিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল বাজারে আসা ক্রেতা আলি হোসেন বলেন, ‘করেনাকালীন সময়ে কাঁচা মরিচের পাশাপাশি সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি অন্তত ৫ টাকা এবং কাঁচা মরিচের দাম ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনাকালীন সময়ে অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। দাম যাতে শিগগির নিয়ন্ত্রণে আসে এজন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।’
শার্শার নাভারন বাজারে আসা ক্রেতা নুর হোসেন বলেন, ‘সবজির বাজার বেসামাল অবস্থা। তিনি বলেন, তিন-চার দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের সবজির দামও। করোনার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় তরিতরকারির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। তিনি বলেন, বাজার দর মনিটরিং যদি আরো জোরদার করা হয় তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বেনাপোল কাস্টমসের সামনে হোটেল মালিকরা বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবধরণের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।’ একইভাবে পলাশ হোটেলের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কাঁচা মরিচের পাশাপাশি সব ধরনের সবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।’
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, দেশে এবার বৃষ্টিপাতের পরিমান বেশি। এতে সবজি সহ তরিতরকারির ক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য ব্যবসায়িরা বাইরের জেলা থেকে এসব সবজি ও ঝাল ক্রয় করে আনছে। পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ার কারনে সবজি ও ঝালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।