April 19, 2024, 5:29 pm
সর্বশেষ:
বাংলাদেশ-ইউএই কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে সম্পর্ক আরও বৈচিত্র্যময় করার আহ্বান গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৩ জুয়াড়িকে আটক মিয়ানমার থেকে আরও ১৩ বিজিবি সদস্য বাংলাদেশে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: ১৭ নারীসহ ৫২ জন রিমান্ডে মোরেলগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত আলফাডাঙ্গায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৪ উদযাপন শার্শায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কালামের নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আমিরাতে কানাইঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদের ঈদ পুর্নমিলনী চরভদ্রাসনে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মায়ের মামলায় তার বাবাকে গ্রেফতার

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় মোদি

  • Last update: Monday, August 24, 2020

হাতে সময় মাত্র দুই মাস। নভেম্বর নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজনৈতিক শিবির ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই পক্ষেরই পাখির চোখ ভারতীয়-মার্কিন ভোটাররা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষায় বোঝা যাচ্ছে, লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। ফলে প্রায় ২৫ লাখ ভারতীয় আমেরিকানের ভোট নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে। ট্রাম্প যে এই ভোট ব্যাংককে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন, রবিবার তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রথম নির্বাচনি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে এদিন। আর এই বিজ্ঞাপনের একটা বড় অংশজুড়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে বিশাল সমাবেশ করেছেন মোদি। ২০১৯ সালের নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে মার্কিন মুলুকে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন মোদি। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয়-মার্কিনের উপস্থিতিতে ‘হাউডি মোদি’ শো হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প। প্রকাশ্যে মোদি-ট্রাম্পের গলায় গলায় বন্ধুত্বের সূচনা সেখানেই।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, যে কোনও কথা বলতে গেলেই প্রথম বাক্যে ট্রাম্পের নাম চলে আসে। আর মোদির ভূয়সি প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। নিজেদের এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের কথা বলেছিলেন।

ট্রাম্পের যে নির্বাচনি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রথম ফ্রেমেই হিউস্টনের সেই বিশাল অনুষ্ঠানের ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে মোদি এবং ট্রাম্প হাত ধরাধরি করে হাঁটছেন।

এখানেই শেষ নয়। ট্রাম্পের নির্বাচনি বিজ্ঞাপনে মোদির বক্তৃতার আরও অংশ আছে। নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শেষ বিদেশ সফর করেছেন ভারতে। হাউডি মোদির মতো ভারতের আহমেদাবাদে ট্রাম্পের সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে দিল্লি। ‘নমস্তে ট্রাম্প’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি কার্যত ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনি প্রচার চালান।

ভারতীয়-মার্কিনদের কাছে সরাসরি ট্রাম্পকে ফের নির্বাচিত করার আবেদন জানিয়ে মোদি বলেছিলেন, ট্রাম্প ভারতকে কী কী সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক কতটা গভীর। ট্রাম্পও ওই দিনের বক্তৃতায় মোদি এবং ভারতের ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন। একই সঙ্গে বলেছিলেন, দেশের ভারতীয়-মার্কিনদের তিনি কতটা গুরুত্ব দেন। নমস্তে ট্রাম্পের ফুটেজও ব্যবহার করা হয়েছে ট্রাম্পের নির্বাচনি বিজ্ঞাপনে।

বেশ কয়েক মাস আগের সেই অনুষ্ঠান থেকেই স্পষ্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ভারতীয়-মার্কিনিদের ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয়-মার্কিন এবং চীনা-মার্কিনদের ভোট যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ট্রাম্প বুঝতে পারছেন, করোনাকালে যেভাবে তিনি চীনকে আক্রমণ করেছেন তাতে চীনা-মার্কিনিদের ভোট তার দিকে যাবে না। ফলে ভারতীয়-মার্কিনিদের ভোট তার প্রয়োজন। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরাও ভারতীয়-মার্কিনদের ভোটের প্রয়োজন বুঝতে পারছেন। সে কারণেই কমলা হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তুলে এনেছে দলটি। এখন পর্যন্ত তার প্রতিটি বক্তৃতায় কমলা তার ভারতীয় এবং আফ্রিকান অতীত তুলে ধরছেন।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাটদের ট্রাম্প কার্ড। ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের এই চালে দৃশ্যত খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছেন। ফলে প্রথমে কমলা হ্যারিসকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার চেষ্টা করেছেন। এবার মোদিকে নামিয়ে দিয়েছেন হ্যারিসের বিকল্প হিসেবে।

বাস্তব হলো, ভারতীয়-মার্কিনদের একটা অংশ মোদি ভক্ত। বিশেষত, পশ্চিম ভারতের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। গত কয়েক দশক ধরে তাদের একটা বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস করছেন। এই অংশ বরাবরই রিপাবলিকানপন্থী। মোদির কথার গুরুত্ব তাদের কাছে খুবই বেশি। কিন্তু বাঙালি, দক্ষিণ ভারতীয়, মহারাষ্ট্র থেকে যাওয়া ভারতীয়রা আবার চিরাচরিতভাবে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থক। কমলা হ্যারিস আসরে নামায় এই অংশের ভোটাররা এমনিই আরও বেশি ডেমোক্র্যাটপন্থী হয়ে গেছে।

রিপাবলিকান ভোটারদেরও একাংশ ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে ডেমোক্র্যাটদের এবার ভোট দিতে পারে। ট্রাম্প সেই অশনি সংকেত বুঝতে পেরেছেন বলেই নির্বাচনি প্রচারে মোদিকে ব্যবহার করে বসলেন। এতে লাভ হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। সূত্র: ডিডব্লিউ।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC