মো. জাফর নামে এক প্রবাসীকে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালতে এই অভিযোগে মামলাটি করেন প্রবাসী জাফরের মামা ও বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবী।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রামের সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার প্রধান আসামি চকরিয়া উপজেলার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম ও চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান। আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের কথামৌজা গ্রামের মো. আবদুল আজিজের ছেলে মো. জাফর দীর্ঘদিন ওমানে ছিলেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগে ওমান থেকে তিনি দেশে ফিরেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে আর বিদেশে যেতে পারেননি। গত ২৯ জুলাই রাতে তাকে বাড়ি থেকে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন ব্যক্তি তুলে নিয়ে যান। পরবর্তীতে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর কাছ থেকে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু প্রবাসীর পরিবার ওই টাকা দিতে পারেননি। এর দুই দিন পর প্রবাসীর পরিবারের কাছে চকরিয়া থানা পুলিশ ফোন করে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য খবর দেয়।
এ প্রসঙ্গে বাদীর আইনজীবী নূর মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি অমানবিক। পরিবারের সদস্যরা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় আদালতে এসেছেন।’
এর আগে গত ৩১ জুলাই পটিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সিএনজি চালক মো. হাসানকে চকরিয়া থানা পুলিশ তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। হাসান পৌরসভার পাইকপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বলে পৌর কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো মামলা করেনি তার পরিবার।
এদিকে চকরিয়া সংবাদদাতা জানান, মামলা হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন, ‘জাফরের কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাওয়া যায়। তাকে নিয়ে আরো মাদক উদ্ধারে অভিযান চালানোর সময় এই ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে।’
উৎসঃ দৈনিক ইত্তেফাক