স্বাধীনতা কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই গোল উৎসব করেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রতিপক্ষকে নিয়ে ছেলেখেলায় মাতেন ডরিয়েল্টন-রোবিনহোরা। একাই ছয় গোল করেছেন এ মৌসুমে দলে যোগ দেওয়া ডরিয়েল্টন গোমেজ। হ্যাটট্রিক করেছেন রবসন রোবিনহো।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্সকে ১৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বসুন্ধরা কিংস। দেশের ফুটবলে নাম লেখানোর পর এটিই কিংসের সবচেয়ে বড় জয়।
চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের দল ফকিরেরপুল কোনো রকম প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। রোবিনহোদের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের রক্ষণভাগ। প্রথমার্ধে সাত গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আরো সাত গোল করে অস্কার ব্রুজোনের দল।
ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। বাম প্রান্ত থেকে রিমনের নিচু করে নেওয়া ক্রস ফকিরেরপুলের এক ডিফেন্ডার ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে না পারায় বক্সের ভেতরেই বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বিপলু আহমেদ। চার মিনিট বাদেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তারিক কাজী। রবসন রোবিনহোর কাটব্যাক পেয়ে বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন এই ডিফেন্ডার।
১২ মিনিটে তৃতীয় গোল পেয়ে যায় কিংস। ডরিয়েলটনের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বাম পায়ের প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন রবসন রোবিনহো। ২১ মিনিটে স্কোর শিটে নাম তোলেন মিগেল ফিগেইরা। ডরিয়েল্টনের বুদ্ধিদীপ্ত কাটব্যাকে ফাঁকায় থাকা মিগেল অনায়াসে বল জালে পাঠান। ২৪ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দর্শনীয় গোল করেন রবসন রোবিনহো। এতে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় কিংস।
২৭ মিনিটে গোলের দেখা পান দলে নতুন আসা ডরিয়েল্টন গোমেজও। সতীর্থের পাস পেয়ে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দূরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর ৪৪, ৪৮, ৮৪, ৮৫ ও ৯০ মিনিটে আরো পাঁচবার লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ৬১ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রবসন রোবিনহো। এ ছাড়া বদলি নেমে বাকি দুই গোল করেন ইয়াসিন আরাফাত ও মাশুক মিয়া জনি।
আগামী ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে আজমপুর ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে খেলবে বসুন্ধরা কিংস।