সোলায়মান হাসান, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নর, বারদী আশ্রম সংলগ্ন কাঁচা বাজারের দোকান প্রতি সাপ্তাহিক ৫০ টাকার খাজনা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিগত দিনে বাজারের ইজারা ছিল প্রতিবছর ৫৫ হাজার টাকা, দোকান প্রতি তখন খাজনা দিতে হতো ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত । বর্তমানে বারদী কাঁচাবাজারের গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকার খাজনা পরিণত হয়েছে ৫০০ টাকায়। বারদী কাঁচা বাজারের স্থানীয় দোকানদাররা জানায় , গত পয়লা বৈশাখ হতে, নতুন ইজারাদারের হাত ধরে খাজার পরিমাণ দোকান প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাজারে দোকান প্রতি খাজনা আদায় করছে ইজারাদার শরিফ সরকার। হুট করে ৫০ টাকার খাজনার টাকা ৫০০ টাকায় পরিবর্তন হওয়ার কারণে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের উপরে তার প্রভাব পড়েছে। সাধারণ দোকানদাররা পড়েছে বিপাকে, যেখানে একটি লেবু ৫ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা, এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
এ বিষয়ে বারদী ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়া জানান, বিগত দিনে সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক থাকাকালীন বাজারের ইজারা সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার টাকা ছিল, বর্তমান চেয়ারম্যান লায়ন বাবুল আসার পর থেকে, ইজারাদারের বাজারের ডাকের টাকা বৃদ্ধি হয়ে, ১০ লক্ষ টাকার ঘরে পৌঁছেছি। আমরা জনসাধারণ খুব সমস্যায় আছি, আমরা স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এমপি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দ্রুত সময়ের ভিতরে বাজারের দোকানদারদের খাজনার বিষয়টি সমাধান চায় সকলে, বিগত দিনের মতো গ্রহণযোগ্য পরিমান টাকা খাজনা গ্রহণে ক্রেতা- বিক্রেতাদের মাঝে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের সমন্বয় হবে।
বারদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই, বাজার কমিটি বা ক্রেতা বিক্রেতা আমার কাছে অভিযোগ দিলে সমাধানের চেষ্টা করবো।
পহেলা বৈশাখ হতে বারদী বাজারের নতুন ইজারাদার, শরীফ সরকার জানান, বিগত দিনে এই বাজারে প্রায় ১২ বছর যাবত আমার পরিবারের লোকজন বাজারটি সরকারি ভাবে ইজারা নিয়ে বাজারের খাজনা আদায় পরিচালনা করেছে। সর্বনিম্ন ১০ টাকা সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, বারদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়ে বাবুল আসার পর থেকে, দলীয় রেষারেষি ও বিভিন্ন কারণে বারদী বাজারটির ইজারার টাকা হার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমি নতুন করে ইজারা পেয়েছি। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের দলীরে মধ্যে রেষারেষি কারনে, বাজারের ইজারার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমার ৫ লক্ষ টাকা লছ ধরিয়া বাজারের ইজারা নিয়েছি, বর্তমানে ১০০ থেকে ২০০ টাকা খাজনা নিচ্ছি দোকান প্রতী। এর সম্পূর্ণ দায়ভার বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুলের, তার উস্কানিতে বারদী বাজারের বর্তমান অবস্থা। তার ব্যক্তিগত সেক্রেটারিকে দিয়ে বাজার ইজারা ফরম ফিলাপ করে জমা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে, ৫৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা অনেকের সাথে আলোচনা করেও সমাধান হয়নি। সোনারগাঁ সকল বাজারের ইজারার টাকার বিষয়টি সমাধান হলেও বারদী বাজারের ইজারার টাকার বিষয়টি কেউ সমাধান করতে পারেনি।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাফুজকে একাধিকবার মোঠ ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
জনসাধারণের দাবী দলীয় রেষারেষ বয়কট করে, সহনশীল বাজারের খাজনার টাকা ধার্য করা হোউক।