আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নে রাজনগর গুরু মোড় হতে সরকারি কাঁচা রাস্তায় অবশেষে আবারও স্থানীয়রা অর্থ ও শ্রমে আদলা ইট, বালি দিয়ে সোলিং বসিয়েছেন।
অনেক জলপনা কল্পনা শেষে, সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে সাহায্য চাওয়া স্বত্তেও রাস্তাটি সংস্কার হয়নি। অবশেষে স্থানীয়রা জানান, খেলারডাঙ্গার গ্রামে অনুমান দুই শত পরিবার বসবাস করে। খেলারডাঙ্গার হতে রাজনগর গুরু মোড় রাস্তা দিয়ে খেলারডাঙ্গার গ্রামের মানুষসহ সর্ব সাধারণের চলাচলের একমাত্র পথ। কিন্তু এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ও লাবসা ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধিদের তদারকির অভাবে রাজনগর গুরু মোড় হতে কাঁচা রাস্তাটি পাঁচ বছরের কোনো প্রকার সংস্কার না করায় বর্ষায় হাটু পর্যন্ত কাদায় রূপ নেয়। চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তার হাটু কাদা ঠেলে অতিকষ্টে এলাকার মানুষ হাট বাজারে, শহরে যাতায়াত করে এবং মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। ভারিবর্ষা হলে রাস্তার হাটু কাদার ভয়ে এলাকার মানুষ রীতিমত ঘর থেকে বের হতে পারে না। রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে পিছলে পড়ে অনেকের হাত, পা ভেঙে গেছে। এমনকি অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বাড়ির বিছানায় শুয়ে দিন কাটিয়েছেন।
এলাকাবাসি আরও জানান এই রাস্তাটির অভিভাবক কে আজও পর্যন্ত আমরা খুঁজে পায়নি ? ইউপি নির্বাচন আসলে অনেক অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায়, আর ভোট হয়ে গেলে আর কোনো অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে এই রাস্তাটি পাঁকা করার দায়িত্ব কার-এলজিইডির কর্তৃপক্ষ, নাকি ইউপি চেয়ারম্যান, নাকি ৩নং ওয়ার্ড মেম্বরের, নাকি স্থানীয় জনসাধারণের-এমন প্রশ্ন এলাকার জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই রাস্তাটি পাকাকরনের কোনো দায়িত্ববান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধির খুঁজে না পেয়ে আর কাঁচা রাস্তায় চলাচলে সীমাহীন কষ্ট সইতে না পেরে ২০২০ সালে নিজেদের অর্থ ও শ্রমে ইট বালি দিয়ে চলাচলে উপযোগী করার জন্য ওই কাঁচা রাস্তায় দুই শত ফুট বসানো হয় ইটের সোলিং। এরপর লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম ও ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর আরিজুল ইসলামের বিষয়টি নজরে আসলে তারা এলাকাবাসিকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, বরাদ্দ হয়েছে, ২০২১ সালে মধ্যে বর্ষা আসার আগেই ওই রাস্তাটি পাকা হবে। কিন্তু ২০২১ সালে বর্ষা আসলেও ওই রাস্তাটি পাঁকা হয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসি।
তাই আবারও স্থানীয়দের অর্থ ও শ্রমে ইট বালি দিয়ে ওই রাস্তায় বসিয়েছেন ইটের সোলিং। তবে আর কত বছর হলে ওই রাস্তা পাকা হবে সংশ্লিষ্টদের কাছে এমন প্রশ্ন এলাকাবাসির। এবিষয়ে লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জানান বরাদ্দ হয়েছে, রাস্তা তৈরির টাকা। দ্রুত কাজ শুরু হবে। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার জন্য জেলা প্রসাশকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার মানুষ।