তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: “একটি পাতা দুটি কুড়ি”, চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রাকৃতিক শুভ্রতায় সৌন্দর্যকে আরেকটু বাড়তি আমেজে জানান দিচ্ছে শরৎ এর কাশফুল। শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোড, উপজেলার নোয়াগাঁও, রাজঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অনন্য দৃষ্টিনন্দন শরৎ এর বাতাসে দোলছে কাশফুল এতে মুগ্ধতায় স্বাদ মনে করিয়ে দিচ্ছে শরৎ কালের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ঋতু পরিবর্তনের আভাস।
কাশফুলে বালুচরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মাথা উঁচু করে সটান দাঁড়িয়ে দোল খাচ্ছে শুভ্র সাদা কাশফুল গুলো। কাশবনে কাশফুল ফোঁটে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে প্রাণ-প্রাকৃতিতে। ছড়ার পাশে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ জায়গাজুড়ে কাশফুলের শুভ্র চাঁদরে ছেয়ে গেছে জানান দিচ্ছে শরৎ এসে গেছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিলে কাশফুলের বালুচরে অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধতার সাদা কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য দেখতে কতই না মনমুগ্ধকর মনোরম পরিবেশের স্বাদ সৃষ্টি করেছে। এমন দৃষ্টিনন্দন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এবং কাশফুল গুলো হেলে দুলে নিজ মহিমায় খেলছে চারিদিকে এমন দৃশ্য সত্যি রোমাঞ্চকর মুহূর্তের প্রতিচ্ছবি।
দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর কথা হয় দীপ বুনার্জি সাথে তিনি বলেন, ঋতুর পরিক্রমায় বাংলার প্রকৃতিতে জানান দিচ্ছে এখন শরৎকাল। রাশি রাশি কাশফুল ছড়াচ্ছে শ্বেত শুভ্র নৈসর্গিকতা। যা মুগ্ধ করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
কাশফুল দেখতে আসা মোহাম্মদ টিপু আহমেদ বলেন, শরৎকাল তার উপস্থিতির কথা জানিয়ে দিচ্ছে নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা। এদিকে কাশফুল তার অপরূপ সৌন্দর্য ডানা মেলে ছড়াচ্ছে, আর এই সৌন্দর্য উপভোগ করতেই এখানে আসা।
বিটিআরআই সংলগ্ন ছড়ার পাশে বালুচরের কাশবনে কাশফুল দেখতে এসেছেন ধ্রুব, নন্দিতা, পারমিতা। তাদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, শরৎ ঋতুর কথা মনে আসলেই আমাদের চোঁখের কোণে ভেসে ওঠে ফুটন্ত সাদা কাশফুল। তাই স্বচক্ষে দেখতেই আসা।
কাশফুল দেখতে আসা স্থানীয়রা বলেন, বিশাল চা বাগানের মাঝে দিগন্ত জোড়া কাশফুলের মনোরম দৃশ্য মানব মনকে করে তোলে আন্দোলিত ও প্রফুল্ল। কাশবন শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণাগুণ। নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের উঁচু স্থানে কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদীর তীরেই কাশফুল বেশি নজর আসে।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে ভানুগাছ সড়কের পার্শ্ববর্তী বেলতলী সংলগ্ন ভুড়ভুড়িয়া ছড়ার পাশে বালুচরের অবস্থানে কাশফুলের রাজ্যে। ভানুগাছে যাওয়ার রাস্তা ধরে খানিকটা সামনে এগোলেই (বিটিআরআই সংলগ্ন) উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলার মধ্যে চা বাগান। সবুজ চা বাগানের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ছড়া। ছড়ার দু’পাশেই প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হয়েছে এই কাশফুলের বালুচর। অপরুপ সাদা কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য রোমাঞ্চিত করে তুলে। এমন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকসহ প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের। প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কের কাশফুলের বালুচর। আর প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটছে অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীরা এখানে আসছেন। কেউবা আনন্দে হারিয়ে যাচ্ছেন কাশবনে। কেউ তুলছেন ছবি আবার কেউ হাত বুলিয়ে নিচ্ছেন কাশফুলে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের বর্মাছড়া চা বাগানের ভেতরে ছড়ার সংলগ্ন বিশাল কাশবনে ফুটেছে কাশফুল।