ফেনীর ফুলগাজীতে সালমা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা। শুক্রবার (৫ জুন) রাতে উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্ধুয়া হাজী স্টোর ভূঞা বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আবু তালেব বাদি হয়ে স্বামী, শাশুড়ি, দেবরসহ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত সালমা উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের ভূঞা বাড়ির সিএনজি অটোরিকশা চালক নজরুল ইসলাম শামীমের স্ত্রী ও ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের বৈরাগপুরের আবু তালেবের মেয়ে।
শনিবার (৬ জুন) ফুলগাজি থানার ওসি কতুব উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নিহতের বাবা আবু তালেব এজাহারে উল্রেখ করেন, পাঁচ মাস আগে জানুয়ারি মাসে সালমার সঙ্গে একই উপজেলার আনন্দপুরের ভূঞাবাড়ির আবদুর শুক্কুরের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সালামাকে চাপ দিয়ে যাচ্ছিলো তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দরিদ্র পরিবার হওয়ায় একসাথে এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। তবুও মেয়ের সুখের জন্য ধার করে ধাপে ধাপে প্রায় এক লাখ টাকা দিয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবারও ফ্রিজের কিস্তি পরিশোধের জন্য ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেওয়া হয়। তাতেও তাদের মন গলেনি।
তিনি এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, সালমার কাছে তার স্বামী আরও এক লাখ টাকা চাইলে সালমা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
ওসি জানান, প্রাথমিক তদন্তে নিহতের গলায় শ্বাসরোধের আলামত মিলেছে। তবে এটি আত্মহত্যা না শ্বাসরোধে হত্যা সেটি ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।