বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সাংবাদিক এইচ এম মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আঃ আলিম ফকির নামে এক ব্যবসায়ী। সোমবার (১৩ জুন) দুপুর ২ টায় উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি ধার দেওয়া টাকা আদায় করে দেবেন মর্মে সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়ে টাকা আদায় করে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মৃত সৈয়দ নজরুল ইসলামর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলামকে বন্ধুত্বের সম্পর্কের খাতিরে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ৪ মাসের মধ্যে ফেরত দেয়ার শর্তে ধার দেই। এ মর্মে লিখিত চুক্তিও ছিল। পরে ২০ হাজার টাকা নগদ এবং বাকি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার জন্য সোনালী ব্যাংক, মোরেলগঞ্জ শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং ০০২১৭০১১৪ এর বিপরীতে পাতা নং ২১২৫৯৫১ একটি চেক আমাকে প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক নিয়ে উক্ত ব্যাংকের উক্ত শাখায় গেলে ওই হিসাবে কোন টাকা না থাকায় তিনি আমাকে ঘুরাতে থাকেন। পরবর্তীতে সোলমবাড়িয়া বাসষ্টান্ড সংলগ্ন আমার জ্বালানি তেলের দোকানের নিয়মিত গ্রাহক ও পূর্ব পরিচিত সাংবাদিক মাইনুল ইসলামকে খুলে বললে তিনি চেকটি নিয়ে টাকা আদায় করে দেবেন বলে জানান। সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম উক্ত চেকের বাহকের স্থলে নিজের নাম লিখে পরবর্তীতে উক্ত চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে ডিজঅনার করে নিজে বাদি হয়ে দেনাদার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
একপর্যায়ে দেনাদার সাইফুল ইসলামের মীমাংসায় এসে পাওনা সম্পূর্ণ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মাইনুল ইসলামকে দিলে সে মামলাটি তুলে নেয় এবং সব টাকা তার নিজের পকেটস্থ করে। পরবর্তীতে তা থেকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা আমাকে দেয়। বাকি টাকা ফেরত চাইলে আজ কাল বলে তালবাহানা করে এবং মিথ্যা মামলা করে আমার ও আমার ব্যবসায়ের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছে।
এমতাবস্থায় অর্থ হারিয়ে আঃ আলীম এবং তার পরিবার নিদারুণ কষ্টে জীবন যাপন করছেন বলেও তিনি তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে আঃ আলীম থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন বলে জানান। তিনি মিডিয়া ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তাও দাবি করেন।
এদিকে, এ ব্যাপারে মুঠোফোনে সাংবাদিক মাইনুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।