সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ভূয়া সনদ ব্যবহার করে ভিসা লাগানোয় দেশটিতে প্রবাসীদের ভিসা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতারক চক্রের কারণে দেশের সম্মানও ক্ষুন্ন হয়েছে। তবে সঠিক পন্থায় সরাসরি কাজের ভিসা নিয়ে আমিরাতে আসা যাচ্ছে। ভিজিট ভিসায় এনে কাজ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করা হয়। এসব প্রতারণা থেকে সাবধান হতে হবে।
দুবাইয়ের মুতিনা অঞ্চলে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ফুড কর্ণার রেস্টুরেন্টের উদ্বোধনকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলার আশিষ কুমার সরকার, রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ কাইয়ুম হোসেন জুয়েল, ফারজানা শাম্মী, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সিনিয়র সহ সভাপতি আইয়ুব আলী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন, শেফালী আকতার আখি, মমিন হোসেন গাজী, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আরব আমিরাতের কোন ভিসাই বন্ধ নেই। সঠিক জায়গায় ভিসা নিয়ে দূতাবাস কিংবা কনস্যুলেটের লেবার উইং থেকে সত্যায়িত করে তবেই দেশ থেকে আসতে হবে তাকে। তবে শ্রমিক ভিসা বন্ধের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, যোগ্যতা এবং দক্ষতা অনুযায়ী হচ্ছে সকল ভিসাই।’
তিনি বলেন, ‘আমিরাতের ভিসায় এখন শ্রেনিবিন্যাস রয়েছে। সাধারনত ভিজিট ভিসায় এসে কাজের ভিসায় পরিবর্তন করা যায় না। তবে ভিজিট ফর জব সিকার নামের ভিসা নিয়ে স্কিল লোকেরা এসে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পরিবর্তন করতে পারেন৷ এছাড়া স্কিল ভিসা তো চালুই রয়েছে।
সাধারণ প্রবাসী ও দেশ থেকে আমিরাতে আসতে আগ্রহীদের দালালদের থেকে সাবধান হতেও পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত।