লকডাউনের সুযোগে বিভিন্ন বিমানসংস্থাগুলো বিদেশগামী কর্মীদের কাছ থেকে গলাকাটা হারে বিমান ভাড়া আদায় করছে।
বিদেশগামী কর্মীদের তিনগুণ ভাড়া গুনতে নাভিশ্বাস উঠছে। সৌদিগামী কয়েকজন প্রবাসী জানিয়েছেন, বিমানের ভাড়ার টাকা যোগাতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তাদের। এক বছর আগে মাত্র ত্রিশ হাজার টাকায় ঢাকা-জেদ্দা রুটের ওয়ানওয়ে বিমানের টিকিট পাওয়া যেতো।
আসন সঙ্কটের দোহাই দিয়ে সেই টিকিট ৭০ হাজার টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে জনশক্তি খাতে অভিবাসন ব্যয় হু হু করে বাড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে আল-জাজিরা এয়ারলাইন্স, কুয়েত এয়ারলাইন্স ও গালফ এয়ার চালু হচ্ছে। কিন্ত যৌক্তিক বিমান ভাড়া নির্ধারণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল সালাম এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (ওভি-৩৯৮) এর যাত্রীরা ১ হাজার ৩০ মার্কিন ডলার দিয়ে ঢাকা থেকে জেদ্দায় গিয়েছেন। অথচ লকডাউনের আগে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ মার্কিন ডলারে ঢাকা-জেদ্দা রুটের টিকিট বিক্রি হয়েছে। আটাবের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল বলেন, ওমানের বেসরকারি এয়ারলাইন্স সালাম এয়ার বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে লুটের রাজ্য কায়েম করছে।
লকডাউনের অযুহাতে আগের ক্রয়কৃত সকল টিকিটও বাতিল করে এয়ারলাইন্সটি চড়া দামে টিকিট বিক্রি করছে। এতে বিদেশগামী কর্মীরা চরম হয়রানি ও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিদেশগামী অনেকেই টিকিটের বাড়তি অর্থ যোগাতে হিমসিম খাচ্ছে। বিদেশগামী কর্মীরা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বিমানের টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে, এয়ারলাইন্সগুলোর ভাড়া নিয়ন্ত্রণের যেনো কেউ নেই।